আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া শাখার মাসিক বৈঠক ৪ নভেম্বর সকাল ৯টায় কুয়ালালামপুরের অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিগত দিনের কার্যক্রমের প্রতিবেদন পেশ, বিভন্ন এলাকা ও জোনের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় ও আগামী দিনের কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
শাখা সভাপতি মুফতী আমীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল করীমের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এম. এস. তাজুল ইসলাম রিয়াজ।
আরো উপস্থিত ছিলেন তাওহীদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম জাঈফ, তারা মিয়াঁ, ইসমাঈল হোসাইন, এমদাদুল্লাহ রাশেদ, আলমগীর হোসাইন, ওমর ফারুক, আব্দুল কাইউম, মুহা. সোহেল, মুহা. সাদ্দাম হোসেন, জামাল উদ্দীন, মাসরুর বিল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিয়া প্রমুখ।
সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে মুফতী আমীরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কাজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ বহির্বিশ্বেও জোরালোভাবে এগিয়ে চলছে। তারই ধারাবাহিতায় আজ মালয়েশিয়াতেও আমরা দীর্ঘ পরিশ্রমের ফলে সুসংহত ও মজবুত একটি অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বশীলগণ অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমারে যেভাবে পৈশাচিক ও নির্মম কায়দায় মুসলিম নিধন চলছে তা ইতিহাসের অন্যান্য গণহত্যাকেও হার মানাবে। অথচ এর প্রতিবাদে মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ এমনকি ওআইসি পর্যন্ত নীরব ভূমিকা পালন করে প্রকারান্তরে এই গণহত্যাকেই সমর্থন করছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের দু'টি বৃহত রাজনৈতিক দল ও মিডিয়াগুলোর ভূমিকাও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। পক্ষান্তরে পীর সাহবে চরমোনাইর নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ মিয়ানমারের এই হত্যাযজ্ঞের ব্যাপারে কঠিন অথচ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করে মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের নাম সমুন্নত রেখেছে। তাই আসুন, দল-মত নির্বিশেষে ঈমানী দায়িত্ব পালনার্থে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত কর্মসূচি সফল করি।
সভায় এ মাসেই মালয়েশিয়া শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মিয়ানমারে নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য দু'আর মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।
আরআর