বশির বিন জাফর, দনিয়া থেকে
মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণ হওয়ায় ঢাকা শহরবাসী অনেক উপকৃত হয়েছে। যাত্রাবাড়ি থানার কুতুবখালী এলাকা থেকে এই ফ্লাইওভার শুরু হওয়া এই ফ্লাইওভারে গাড়ি ওঠানামার সুবিধার জন্য কুতুবখালী ও দনিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে আগের চেয়ে দ্বিগুণ প্রশস্ত করা হয়েছে। তাছাড়া টোল প্লাজা স্থাপনের কারণে ফ্লাইওভারে ওঠানামার রাস্তাকে কংক্রিটের ডিভাইডার দিয়ে দু'পাশের রাস্তা থেকে পৃথক করায় এখন এই মহাসড়ক ক্রস করে একদিক থেকে অন্যদিকে যেতে একজন পথচারীকে প্রায় ১২০ ফুট দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। তাছাড়া প্রতিদিনই কুতুবখালী, দনিয়া ও শেখদী এলাকার হাজার হাজার লোক বিভিন্ন প্রয়োজনে এই মহাসড়ক পারাপার হয়ে যাওয়া আসা করে। ফ্লাইওভারে উঠার ৩০০ ফুট আগেই হাতের বাম পাশে অবস্থিত দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও কুতুবখালী এলাকা। এ এলাকায় ব্রাক, এসআইবিএল, ডাচ বাংলা ও ইসলামী ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের শাখা, দু'টি হাসপাতাল এবং একটি ডাকঘর রয়েছে।
তাছাড়া সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি তা হচ্ছে দনিয়া, শনির আখড়া ও কুতুবখালী এলাকায় ছোটবড় প্রায় একশটির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার জন্য শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৮ লেনের মহাসড়ক পার হয়ে থাকে।রাস্তা চওড়া করার আগে কুতুবখালী ও দনিয়া এলাকায় এই মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য তিনটি বিভাজন ছিল এবং তখন পথচারীদের যাতায়াতের জন্য আলাদা রাস্তাও ছিল। বর্তমানে দুহাত প্রশস্ত দুটি বিভাজন ছাড়া রাস্তা পার হওয়ার আর কোন ব্যবস্থাই সেই। যার দরুন গত এক বছরে এই রাস্তা পার হতে গিয়ে দশ জনেরও অধিক লোকের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে যার মধ্যে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজেরই ছিলো একাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়া প্রতিনিয়ই কেউ না কেউ আহত হয়ে বরণ করছে পঙ্গুত্বের জীবন। এ অবস্থায় দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা অতীব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গেলে একাধিক শিক্ষার্থী আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোরকে জানায়, তারা প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করছে আর এতে করে গত বছর তারা তাদের দুজন শিক্ষার্থীকেও হারিয়েছে শুধু মাত্র একটি ফুট ওভার ব্রীজ না থাকার কারণে। তাই তারা বলেন আর যেন কোন শিক্ষার্থীকে লাশ হয়ে মায়ের কোলে ফিরতে না হয় এবং তাদের যেন আপন সহপাঠীদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু না দেখতে হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি কামনা করছেন।তারা আরও বলেন কতৃপক্ষ যদি এ ব্যপারে কর্ণপাত না করে তবে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে দাবী আদায় করার মতো কঠিন কর্মসূচি নিতেও প্রস্তুত রয়েছে।
এফএফ