ফারুক ফেরদৌস : পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের প্রশাসন গোষ্ঠীগত উত্তেজনা সৃষ্টির আশংকায় ওই জেলায় স্থানীয় ১১ ও অন্য জেলার ১৬ আলেমের বক্তৃতার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অন্য জেলার ১৬ আলেমের ইসলামাবাদে প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশতাক আহমদের পক্ষ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই আলেমদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, আপনাদের বক্তৃতায় গোষ্ঠীগত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ভয় আছে যা আগে থেকেই বিভিন্ন ফেরকার মধ্যে বিদ্যমান। এবং এ কারণে মানুষের জান মালের ক্ষতি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা আছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উত্তেজনার কারণে জননিরাপত্তায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হলে কুচক্রীরা সেই সুযোগের অপব্যবহার করতে পারে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ইসলামাবাদের স্থানীয় এগার আলেম দুই মাস পর্যন্ত ইসলামাবাদের সীমানায় কোনো জনসমাবেশে বক্তৃতা করতে পারবেন না। এদের মধ্যে দেওবন্দী চিন্তাধারার চারজন, ফিকহে জাফরী ঘরানার চারজন এরং বেরলভী ফেরকার তিনজন আলেম রয়েছেন। আর ইসলামাবাদের বাইরের প্রবেশ ও বক্তৃতায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এমন ১৬ আলেমের মধ্যে সাতজন দেওবন্দী চিন্তাধারার, ফিকহে জাফরী ঘরানার পাঁচজন এবং বেরলভী ফেরকার চারজন।
নিষিদ্ধ আলেমদের মধ্যে আছেন সিপাহে সাহাবা পাকিস্তানের প্রধান মাওলানা মুহাম্মদ আহমদ লুধিয়ানবী, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস, লাল মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা মুয়াবিয়া আজম, মাওলানা জিয়াউল্লাহ শাহ বোখারী, মাওলানা সাইয়েদ সাবতিন শাহ নকবী, মাওলানা আব্দুল রউফ ইয়াজদানি, আজহার হোসাইন হায়দরী, আল্লামা রাজা নাজের আব্বাস, আসিফ রেজা আলাওয়ী, মাওলানা আলী নাসের, মাওলানা ইউসুফ রেজায়ী, মাওলানা সাইয়েদ ইরফান শাহ মাশহুদি, জাকের মুখতার হোসাইন, রানা জামশেদ আব্বাস, জাওয়াদ ইকবাল ফারুকী, সাইয়েদ আযহার হোসাইন কাযেমী, রানা গোলাম সফদর, যেওয়ার মুহাম্মাদ আফজল প্রমুখ।
সূত্র : ডন নিউজ, ডেইলি পাকিস্তান
এফএফ