আওয়ার ইসলাম : রাত পোহালেই ঈদ। মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসব আমেজে সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। মুসলমানরা নামাজ ও পশু জবাইয়ের মধ্যদিয়ে পালন করবেন এই ধর্মীয় উৎসব।
কোরবানির এ প্রচলন প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন। ওই অনন্য ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির এ রেওয়াজ চালু হয়। মহান আল্লাহপাকের প্রতি আনুগত্য এবং তাঁরই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানী ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রদত্ত এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড ও বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। এই উৎসবের মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা জবাইকৃত পশুর গোশত আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠা করেন।
এফএফ