জাহেদ আহমদ জেহিন; সিলেট
দীর্ঘ হয়ে চলেছে খুনের মিছিল। গত কিছুদিন ধরে একের পর এক হত্যার শিকার হচ্ছেন ইমামরা। এবার সেই মিছিলে যোগ হলেন মাওলানা আবদুর রহমান।
নিহত মাওলানা আবদুর রহমান উসমানী নগর থানার সাদীপুর ইউপির দক্ষিণ মোবারকপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি সিলেটের মোগলাবাজার থানার সোনাপুর গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে।
প্রত্যাক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, বৃহস্পতিবার সকালে মুসল্লিরা ফজরের নামাজ পড়তে এলে ইমাম সাহেবের রুম তালাবন্ধ দেখেন। কয়েকজন জানালা দিয়ে দেখতে পান ইমাম সাহেবের লাশ ঝুলছে। হাত ও পা উভয়ই বাঁধা।
মুসল্লিদের ধারণা, শাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে ইমাম আবদুর রহমানকে।
উসমানি নগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের বড় ভাই জনউদ্দিন বলেন, তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে নৃশংশভাবে খুন করা হয়েছে- যা পরিকল্পিত বলেই মনে হয়। আমরা এ হত্যার দ্রুত বিচার চাই।
ওসমানী নগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, নিহত ইমামের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার হাত পা বেঁধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এ ব্যাপারে তদন্তের পর জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই একের পর এক ইমাম খুনের ঘটনা ঘটছে। যেসব রহস্যের কোনোটির কুল কিনারা এখন হয়নি। গত ১৬ আগস্ট কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় উছমানপুর ইউনিয়নের কোণাপাড়া এলাকায় মিজানুর রহমান খোকনের (২৮) লাশ পাওয়া যায়। তিনি কোণাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় একটি মক্তবের আরবির শিক্ষক ছিলেন।
এ ঘটনার মাত্র ৪ দিন পরই ময়মনসিংহের ভালুকায় হোসেন আলী ওরফে ছেলামত মুন্সী (৮০) নামে মসজিদের এক সাবেক ঈমামকে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে দা দিয়ে ঘার ও পিঠে উপর্যুপরি কুপিয়ে খুন করা হয়।
আরআর