যুবাইর ইসহাক: ফেসবুকে লাইভ অপশন বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। পৃথিবীর যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো সময় লাইভ করে একটি ছোটখাট সংবাদ সম্মেলন করা সম্ভব হচ্ছে। লাইভ প্রসঙ্গে জুকারবার্গ লিখেখেছিলেন, ‘লাইভ ফিচার অনেকটা টিভি ক্যামেরা নিজের পকেটে রাখার মতো। ফোন হাতে যেকোনো মানুষ এখন পৃথিবীর যেকোনো মানুষের কাছে নিজেকে সম্প্রচার করতে পারবে।’
ফেসবুক লাইভ আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এখন এসেছে নতুন আঙ্গিকে। পূর্বে একজন ফেসবুকার শুধু তার ওয়ালে বা পেইজে লাইভ করতে পারতেন। এখন বিভিন্ন গ্রুপ, ইভেন্টও লাইভ করতে পারেন। ফেসবুক লাইভ করে এখন কী করছেন জানাতে পারেন ভিন্ন দেশে অবস্থারত কাউকে। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আপনার আনন্দময় মুহুর্তগুলো। কোন গুরুত্ত্বপূর্ণ ইস্যুতে আপনার লাইভ রাখতে পারে বিরাট ভুমিকা।
ফেসবুক লাইভ বহু ক্ষেত্রে উপকারী হলেও এর অপব্যাবহারও করছেন কেউ কেউ। অনেকে একে অন্যদের যন্ত্রণা দেয়ার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যখন তখন, যত্রতত্র যে কোন ভিডিও তুলে ধরছেন ক্যামেরায়। যা অন্যদের বিরক্তি উদ্রেক করছে।
ফেসবুকে জনপ্রিয় নুরুল্লাহ আমিন বলেন, ‘ফেসবুক লাইভ এটা ফেইসবুকে নতুন সংযোজিত একটি সেবা,যা ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলেছে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকেই সচিত্র সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। এ সম্পর্কে আমার মতামতটি হলো, যাতে করে এটাকে মানুষ কোনরকমের অবৈধ ও অনৈতিক বাজে ব্যাবহার না করতে পারে, এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য অনুরোধ জানাব। এবং এর যথেচ্ছ ব্যাবহারকারীদের বিরুদ্ধে যাতে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
ফেসবুকের আরেকজন নিয়মিত ইউজার গোলাম মুক্তাদির বলেন, ‘ফেসবুক লাইভ মার্ক জুকারবার্গের একটি দারুণ উদ্ভাবন বলে আমি মনে করি। এই ফিচারটা দারুণভাবে সফল হবে এবং হচ্ছে। লাইভে এখন যে কোনো সময় যে কোনো নিউজ নিজে প্রচার করা যায়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আরো শক্তিশালী করেছে।’
তাই লাইভ ফিচারকে অনর্থক অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার না করে কোন গুরুত্ত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্যবহার করা হোক। তাহলেই এটা মানুষকে বিরক্ত না করে সবার জন্য উপকারী হবে।
এফএফ