আওয়ার ইসলাম: মোবারক হোসেন চাকরি করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এমএলএসএস পদে। তবে গাড়ি-বাড়ি, টাকা-পয়সার অভাব নেই। রাজধানীতে তার রয়েছে একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট।
বিভিন্নজনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নথি গায়েব করা, কোনোটির পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা বা এক জায়গার ফাইল অন্য জায়গায় নিয়ে রেখে দিতেন মোবারক। সেইসাথে প্ল্যান পাস, সেল পারমিশন নেয়া, নকশা অনুমোদনসহ বিভিন্ন তদবিরও করতেন। এভাবে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এমনকি রাজউকের প্লটও।
শুধু তিনিই নন, তাঁর স্ত্রী শাহিনা পারভীনের নামেও রয়েছে প্রচুর সম্পদ। যদিও তাঁর স্ত্রী একজন গৃহিণী। মোবারক হোসেন দম্পতির সম্পদ অনুসন্ধানে নেমে বিস্মিত দুদক। অল্প সময়ে মোবারক গড়ে তোলেন বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট। তাই এবার তাঁদের কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়ে বৃহস্পতিবার পৃথক নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মোবারক দম্পতির সম্পদ অনুসন্ধান করেন উপপরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মেদ।
দুদক আইনের ২৬(১) ধারায় পাঠানো এ নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান থেকে আরও জানা যায়, উত্তরা প্রকল্প থেকে নয় লাখ টাকায় একটি প্লট (উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে প্লট-২৫) নেন। এ প্লটের ওপর দুই কোটি টাকা খরচে গড়ে তোলেন সাততলা ভবন। এটি দেখিয়ে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন। ভবনের দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেন ৬৫ লাখ টাকায়।
স্ত্রী শাহিনা পারভীনের নামে ডেলপার্ক হাউজিং লিমিটেডের শেয়ার কেনেন ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। উত্তরা রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটে রয়েছে ১৬৬.২১ বর্গফুটের একটি দোকান। মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
ঝিনাইদহে স্ত্রীর নামে ২২৫.২৮ শতাংশ জমি রয়েছে। উত্তরায় রয়েছে ৩ কাঠার একটি প্লট (সেক্টর-১১, রোড-১২,প্লট-২৬)। এ প্লটটি স্ত্রীর আয়কর নথিতে দেখানো হয়েছে ‘হেবা’ হিসেবে। এখানে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে মোবারক হোসেন টিনশেড ঘর বানিয়ে ভাড়া তুলছেন।
আরআর