মোস্তফা ওয়াদুদ: আওয়ার ইসলাম
সরকার কওমি সনদের স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে। গত কয়েকদিন পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি ইন্সটিটিউটেরর উলামা সম্মেলনে এক বক্তৃতায় বলেছেন, আমরা কওমী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করতে চাই। তাদের রাস্ট্রীয় কাঠামোতে এনে সরকারি স্বীকৃতি দিতে চাই। আপনারা বোর্ড গঠন করে আমাদের কাছে আসুন।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা ফরিদউদ্দীন মাসউদের মাধ্যমে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। যারা সরকারের সাথে পরামর্শ ও মতবিনিময় করে স্বীকৃতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে অনেক তরুণ আশাবাদী হয়েছে। স্বীকৃতির জন্য তারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। আবার বিপরীতও আছে অনেকে। ব্যাপারটি ভাবিয়ে তুলছে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকেও। গতকাল সকালে হাটহাজরী মাদরাসায় আল্লামা শফির সভাপতিত্বে একটি বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, গতকাল আমাদের বৈঠকে শিক্ষানীতির ব্যাপারে কথা হয়েছে। স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনাকে শিক্ষানীতির আলোচনার উপরে মওকুফ বা স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতির পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষাআইন ও শিক্ষানীতি থেকে যে ধর্মীয় মূল্যবোধ রহিত করা হয়েছে তার সংযোজন করতে হবে। তাহলেই ইসলামী শিক্ষার যথাযথ মূল্যায়ণ সম্ভব হবে। সরকার যদি সিলেবাস থেকে নাস্তিক্যবাদ দূর করে ইসলামাইজ করে। তাহলে স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগে সরকারের সাথে স্বীকৃতি নিয়ে কোনো আলোচনা নয়।
তিনি আরো বলেন, গতকালের বৈঠকে হেফাজতের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য নতুন মহানগর কমিটি করা হয়। আর কুরবানির পরে আমরা আরেকটি বৈঠক করবো। সে বৈঠকে স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরী বলেন, কারো সাথে কারো কোনো দ্বন্দ্ব নয়। বরং সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সরকারের কাছে স্বীকৃতি চাইবো । তাহলে সেটা বেশি কার্যকরী ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করি।
এআর