আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) নোটিশের জবাব দেয়ার দিন ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পেল দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল (প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ)।
সোমবার হাইকোর্টের এক আদেশে আগামী ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছে সিটিসেল। প্রতিষ্ঠানটির এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যেহেতু আগামী ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিটিসেলকে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের সময় বেধে দেয়া হয়েছে, সেহেতু এই সময়ের আগে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন জেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাকিব। পরে রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, সিটিসেলের তরঙ্গ বাতিল, কার্যক্রম বন্ধের পদক্ষেপ, সিটিসেলকে দেয়া বিটিআরসির নোটিশসহ বেশকিছু বিষয়ে রোববার এ আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করার নির্দেশের পাশাপাশি বিটিআরসির নোটিসের জবাব দেওয়ার দিন পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে বলেছে।
পৌনে পাঁচশ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় সিটিসেলের তরঙ্গ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ১৭ই আগস্ট সিটিসেলকে নোটিস দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। জবাব দাখিলের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়। গত ১৬ই আগস্ট সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ২৩শে আগষ্ট সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
ওএস