আওয়ার ইসলাম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে বলেছেন, সনদ দিতে হলে ন্যূনতম একটি কারিকুলাম দরকার। আমরা কওমি মাদরাসা কমিশন গঠন করে দিয়েছি। কিন্তু কওমি মাদরাসার পাঁচটি বোর্ড এখনো একমত হতে পারেনি। সবাই একমত হন অথবা যারা আগ্রহী, তারা একমত হন, আমরা বাস্তবায়ন শুরু করে দেব।
আজ (১১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামা আয়োজিত ‘ইসলামের দৃষ্টিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখনই কেউ ইসলামিক টেররিস্ট বলে, আমি সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করি। সন্ত্রাসী কোনো ধর্মের হতে পারে না। সামান্য কয়েকটি লোক ইসলামকে হেয় করতে পারে না। পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক, উদার, শান্তি-সৌহার্দ্য ও সহনশীলতার ধর্ম ইসলাম।
কওমি মাদরাসার বিভিন্ন মতের আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কওমি মাদরাসার বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে।এ ব্যাপারে একটা কারিকুলাম প্রয়োজন। আপনারা শিক্ষা কারিকুলামটা ঠিক করে দিলেই ভাল হয়। আমরা ইতিমধ্যেই আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। সেখান থেকে ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি নিয়ে ভাল কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে।
আলেমদের সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই একমত হোন অথবা যারা স্বীকৃতি নিতে আগ্রহী তারা একমত হোন, আমরা বাস্তবায়ন শুরু করে দেবো।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখ লাগে যখন সামান্য কিছু লোক ধর্মের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে। আমাদের পবিত্র ধর্মকে হেয় করছে। তারা কুরআন-হাদিস ও ইসলামের পবিত্র বাণী মানবে না, নামাজ না পড়ে মানুষ খুন করতে যায়, তারা কী করে বেহেশতে যাবে? তারা কী করে ভাবে, তারা মানুষ খুন করে বেহেশতে যাবে!
এসময় সারা দেশে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলেনে বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার সভাপতি ফরিদউদ্দীন মাসউদ একলাখের অধিক আলেমের স্বাক্ষরিত ৩০ খণ্ডের ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া’ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আরআর