সিয়াম বিন আহমাদ; আওয়ার ইসলাম
বন্ধুত্ব প্রকৃতির সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টির নাম। মানুষ একে অপরকে মহব্বত করতে, তার প্রতি মায়ার চাহনিতে তাকাবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। রুক্ষতা পছন্দ করে না কেউ। বন্ধুত্ব নিয়ে পবিত্র কুরআন, হাদিস ও মনীষীরা অনেক কিছু বলেছেন। আসুন এরকম কিছু বিষয় জেনে রাখি।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, হে মুমিনগণ! ইহুদি ও নাসারাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না। [সূরা মায়িদাহ ৫:৫১]
রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর তায়ালার উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসলো, আর একমাত্র তার জন্যই কাউকে ঘৃণা করল, তারই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাউকে দান করল এবং তা থেকে বিরত থাকল; তবে নিঃসন্দেহে সে নিজ ঈমানকে পূর্ণতা দান করল। [আবু দাউদ শরীফ]
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাঃ বলেছেন, মহান আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন বলবেন, আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালোবেসে ছিলো তারা কোথায়? আজকের দিন আমি তাদের আমার আরশের ছাঁয়ায় আশ্রয় দিবো। যেদিন আমার আরশের ছাঁয়া ছাড়া অন্য কোন ছাঁয়া থাকবে না। [মুসলিম, রিয়াজুস স্বা- লিহীন -৩৮২]
পারস্যের মহাকবি শেখ সাদীর দুটি বিখ্যাত বানীঃ ১. সৎ সঙ্গে সর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। ২. মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা-বসা সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না। এ
পি জে আব্দুল কালামের একটি বানীঃ একটি বই একশটি বন্ধুর সমান কিন্তু একজন ভালো বন্ধ পুরো একটি লাইব্রেরীর সমান।
আরআর