মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ খন্দকার ۞ মানবসভ্যতার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধনে ইসলামি শরিয়াহর অবদান ঐতিহাসিক ও বহুমাত্রিক। কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া ও দাসপ্রথার মতো অমানবিক ও নিষ্ঠুর সব রীতি-রেওয়াজ দূর করার মধ্য দিয়ে ইসলাম মানুষের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমাজকে বসবাসের উপযোগী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সাধন করেছে। একইভাবে সুদ, ঘুষ, জুয়া, প্রতারণা, ছলচাতুরী, ফটকাকারবারি ইত্যাদি অনৈতিক উপাদান নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ইসলামি শরিয়াহ জুলুম ও শোষণমুক্ত অর্থনীতি ও সমাজ বিনির্মাণে সচেষ্ট হয়েছে।
অর্থনীতি ও ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা এখন যে নৈতিকতা ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার বিষয় আলোচনা শুরু করেছি ইসলামি শরিয়াহ শুরু থেকেই সেটাকে যাবতীয় অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়াহর একটি মূলনীতি হলো, লেনদেনের ক্ষেত্রে যা কিছু মানুষের জন্য কল্যাণকর তাই গ্রহণযোগ্য আর যা ক্ষতিকর তা পরিত্যাজ্য। ইসলামি শরিয়াহর মূল মাকাসিদ বা উদ্দেশ্যও হলো মানুষের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধন করা।
বিশ শতকে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে ইসলামি ব্যাংকিং নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সমস্যাকে শরিয়াহর আলোকে সমাধানে এগিয়ে আসেন ইসলামি স্কলাররা। তারা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত জমাগ্রহণ ও বিনিয়োগের নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু কিছু ব্যক্তি ইসলামি শরিয়াহ সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান ছাড়াই ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কে সমালোচনার অনধিকার চর্চা করছেন। তাদের সমালোচনার অনেকটাই ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কে অজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আবার এটা হতে পারে ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কে তাদের পরশ্রীকাতরতার বহিঃপ্রকাশ।
ইসলামি ব্যাংকিংয়ে কিছু কিছু সমালোচক মনে করেন, ইসলামি ব্যাংকিং মানেই হলো লাভ-লোকসান ভাগাভাগির পদ্ধতি। লাভ-লোকসান ভাগাভাগির ভিত্তিতে বিনিয়োগ হলেই কেবল সুদমুক্ত ও শরিয়াহসম্মত ব্যাংকিং হয়। আর কেনাবেচা পদ্ধতিকে তারা সুদমুক্ত ব্যাংকিংয়ের পরিপন্থী বলে মনে করেন। আসলে তাদের এ সমালোচনা ইসলাম ও বাস্তবতা বিরোধী। কেননা, ইসলামি শরিয়াহ যেমন মুশারাকা-মুদারাবা বা লাভ-লোকসান ভাগাভাগির পদ্ধতিকে বৈধ করেছে তেমনি বাই বা কেনাবেচা এবং ইজারা বা ভাড়া পদ্ধতিকেও বৈধ করেছে।
কেনাবেচা পদ্ধতি সম্পর্কে আল কুরআনেই বলা হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ কেনাবেচাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম’ (সূরা আল বাকারাহ : ২৭৫)। রাসূল সা: এক ইহুদির কাছ থেকে বাকিতে খাদ্যদ্রব্য কিনেছিলেন এবং তাঁর লৌহবর্ম বন্ধক রেখেছিলেন (সহিহ আল বুখারি)। সম্মানিত সাহাবি ও তাবেয়িদের যুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সব ফকিহ ও আলেম নিজের প্রয়োজনে কেনাবেচা করেছেন এবং একে শরিয়াহসম্মত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বাকিতে লাভে পণ্য কেনাবেচা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন, ‘কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে এ কথা বলায় কোনো অসুবিধা নেই যে, নগদ হলে এত দাম আর বাকিতে হলে এত দাম। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার সন্তুষ্টির ভিত্তিতেই তা হতে হবে’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ)। হজরত তাউস ও আতা রহ: বলেছেন, এ কথা বলায় কোনো অসুবিধা নেই যে, এই কাপড় নগদ হলে এত দাম আর বাকিতে হলে এত দাম। এর যেকোনো একটি গ্রহণ করতে পারবে (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ)। ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট ১০০ দিনার পায়। উক্ত দিনার পরিশোধের সময় হলে দেনাদার তাকে বলে, তুমি ১০০ দিনার নগদ মূল্যের কোনো পণ্য আমার কাছে ১৫০ দিনারের বিনিময়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে বাকিতে বিক্রয় করো। এটা নিশ্চয় বৈধ। কেননা, তারা এমন কোনো শর্ত আরোপ করেনি এবং এমন কিছু বলেনি যার কারণে এ বেচাকেনা ফাসিদ বা নষ্ট হয়ে যাবে।’
আল্লামা সারাখসি র: ও হিদায়া গ্রন্থকার লিখেছেন, বাকিতে বিক্রির ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধি করা ব্যবসায়ীদের সাধারণ রেওয়াজ। এর ভিত্তিতেই ব্যবসা হয়ে থাকে। তাই কেউ কোনো জিনিস বাকিতে কিনে মুরাবাহা করতে চাইলে তা ক্রেতার কাছে স্পষ্ট করে বলে দেয়া দরকার যে, আমি এটা বাকিতে কিনেছি।
ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট ১০০ দিনার পায়। উক্ত দিনার পরিশোধের সময় হলে দেনাদার তাকে বলে, তুমি ১০০ দিনার নগদ মূল্যের কোনো পণ্য আমার কাছে ১৫০ দিনারের বিনিময়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে বাকিতে বিক্রয় করো। এটা নিশ্চয় বৈধ। কেননা, তারা এমন কোনো শর্ত আরোপ করেনি এবং এমন কিছু বলেনি যার কারণে এ বেচাকেনা ফাসিদ বা নষ্ট হয়ে যাবে।’
পূর্ববর্তীদের মতো নিকট অতীত ও বর্তমানের অসংখ্য আলেম, ফকিহ ও মুজতাহিদ নগদের তুলনায় বাকিতে বেশি মূল্যে মুরাবাহা বৈধ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- আশরাফ আলী থানভি, আব্দুলাহ বিন বায, মুফতি শফি, ড. ইউসুফ আল কারদাভি, মুফতি মুহাম্মদ তকি উসমানি প্রমুখ বিশ্ববরেণ্য ইসলামি ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়া ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে কুয়েতে ইসলামি ব্যাংক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বিশ্ববরেণ্য ফকিহ ও আলেমগণের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির অধিবেশনে কিছু শর্তসাপেক্ষে ব্যাংকিং মুরাবাহা বা মুরাবাহা বিল আজল বৈধ হওয়ার পক্ষে মত দেয়া হয়।
কেনাবেচা বা বাই মুরাবাহা ও বাই মুয়াজ্জাল ইসলামি ব্যাংকের উদ্ভাবিত নতুন কোনো পরিভাষা নয়। ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থা বর্তমান কাঠামোতে আসার অনেক আগেই মুসলিম সমাজে এ পদ্ধতির প্রচলন ছিল। ইসলামি ফিকহের প্রাচীন গ্রন্থাবলিতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
কেনাবেচার প্রয়োজনীয়তা এতই বেশি যে, সমাজে এমন কোনো মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে যে জীবনে কোনো দিনই ডাক্তারের কাছে যায়নি, কিন্তু এমন মানুষ খুবই বিরল যে জীবনে কোনো দিনই কোনো জিনিসপত্র কেনেনি। আমাদের দেশের জিডিপি’র একটা বড় অংশ আসে ব্যবসাবাণিজ্য বা কেনাবেচা থেকে, প্রতিদিন আমদানি-রফতানির যে ব্যবসা হয়, তাও কেনাবেচা পদ্ধতিতে। ব্যাংকগুলো এলসি বা ঋণপত্র খুলে থাকে বিদেশ থেকে পণ্য কেনার জন্য। প্রতিদিন হাট-বাজার ও শহর-বন্দরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিপণি ও দোকানপাটে চলে হরেক জিনিসের কেনাবেচা।
কেনাবেচার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফাকে যারা সুদ বলেন; তারা মূলত সুদ ও মুনাফার পার্থক্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। সুদ ও মুনাফার পার্থক্যের একটি উদাহরণ হলো, কেউ যদি কাউকে ১০ টাকা ঋণ দেয় এ শর্তে যে এক মাস পর তাকে ১১ টাকা দিতে হবে। এখানে অতিরিক্ত এক টাকা সুদ। কিন্তু কেউ যদি ১০ টাকা দিয়ে এক কেজি বেগুন কিনে ১৫ টাকায় বিক্রি করে তাহলে এখানে যে পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাকে সুদ বলা যাবে না। এই পাঁচ টাকা মুনাফা বা লাভ।
ইসলামি ব্যাংকে অনুশীলিত বাই মুরাবাহা বা বাই মুয়াজ্জালপদ্ধতিতে বাস্তবে পণ্যের কেনাবেচা হলে তা অবশ্যই সুদের সংশয় থেকে মুক্ত। এ পদ্ধতিতে যদি টাকার বিনিময়ে পণ্য কেনাবেচা করা উদ্দেশ্য হয়, কেনাবেচার সময়েই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সম্মতিতে মূল্য নির্ধারণ হয় এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা না থাকে তাহলে তা শরিয়াহ-সম্মত কেনাবেচা হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের কেনাবেচা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহর অনুমোদন রয়েছে এবং এ ব্যাপারে চার মাজহাবই একমত। কিন্তু যদি পণ্য কেনাবেচা ছাড়াই শুধু নগদ অর্থ গ্রহণের জন্য কেনাবেচার নাম ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা অবশ্যই অপকৌশল হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপকৌশল অবলম্বন করে অর্জিত আয় সুদ হিসেবে গণ্য হবে। পণ্য কেনাবেচার মাধ্যমে মানুষের শরিয়াহসম্মত চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যেই ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থায় কেনাবেচা বিশেষ করে মুরাবাহা, মুয়াজ্জাল, সালাম, ইসতিসনা ইত্যাদি কেনাবেচা পদ্ধতিকে বিনিয়োগ প্রোডাক্ট হিসেবে চালু করা হয়েছে। বাই মুরাবাহা বিল আজল বা বাকিতে লাভে বিক্রি পদ্ধতিতে একজন বিনিয়োগ গ্রাহক নিজের চাহিদা মতো পণ্য কেনার জন্য ব্যাংকের কাছে আবেদন করেন এবং ব্যাংক নিজের অর্থ দিয়ে সরবরাহকারী থেকে পণ্য কিনে ওই বিনিয়োগ গ্রাহকের কাছে গ্রহণযোগ্য মুনাফায় বাকিতে বিক্রি করে। এ পদ্ধতির আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো, পণ্য যার হাতে থাকে ঝুঁকি তাকেই বহন করতে হয়।
ইসলামি ব্যাংকে অনুশীলিত বাই মুরাবাহা বা বাই মুয়াজ্জালপদ্ধতিতে বাস্তবে পণ্যের কেনাবেচা হলে তা অবশ্যই সুদের সংশয় থেকে মুক্ত। এ পদ্ধতিতে যদি টাকার বিনিময়ে পণ্য কেনাবেচা করা উদ্দেশ্য হয়, কেনাবেচার সময়েই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সম্মতিতে মূল্য নির্ধারণ হয় এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা না থাকে তাহলে তা শরিয়াহ-সম্মত কেনাবেচা হিসেবে গণ্য হবে।
বাই মুরাবাহা ও সুদভিত্তিক প্রচলিত পদ্ধতি এক নয় এবং উভয়ের অর্থনৈতিক প্রভাবও ভিন্ন। প্রচলিত সুদভিত্তিক পদ্ধতিতে ঋণগ্রহীতা ঋণের অর্থ কোথায় ব্যবহার করবেন তা জানা সুদভিত্তিক ব্যাংকের জন্য জরুরি নয়। ঋণগ্রহীতা এ অর্থ জনস্বার্থের বিরোধী, যেমন মাদক ও নেশাজাত দ্রব্যের ব্যবসা, অবৈধভাবে অস্ত্র আমদানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করলেও ব্যাংকের করার কিছু থাকে না। বিপরীতে দেশীয় আইন ও ইসলামি শরিয়াহ অনুমোদন করে এমন পণ্য ক্রয়ের জন্যই কেবল মুরাবাহা পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করা যায়। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অর্থ জনস্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড ও বিনিয়োগ গ্রহণের উদ্দেশ্যের বিপরীতে ব্যবহারের সুযোগ থাকে না। আবার কেনাবেচা পদ্ধতিতে যথার্থভাবে কেনাবেচা সম্পাদিত হয় বলে এটা অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সুদভিত্তিক পদ্ধতিতে ঋণগ্রহীতা সময় মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংকের কোনো ক্ষতি নেই। কেননা, সময় বাড়ার সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে সুদও বাড়তে থাকে। অন্য দিকে ইসলামী ব্যাংকের কেনাবেচা পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রাহক দরিদ্রতার কারণে সময়মতো বিনিয়োগ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে অতিরিক্ত কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। আর বিনিয়োগ গ্রাহক সচ্ছলতা সত্ত্বেও সময়মতো বিনিয়োগ পরিশোধ না করলে বিলম্বজনিত ‘ক্ষতিপূরণ’ দেন। কিন্তু এই ক্ষতিপূরণ ব্যাংকদাতব্য কাজে ব্যয় করে। ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্প্রসারিত হয়।
সুদভিত্তিক ঋণদান পদ্ধতিতে অর্থকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একজন ব্যবসায়ী যেমন কেনা দামের চেয়ে বেশি দামে কোনো পণ্য অন্যের কাছে বিক্রি করতে পারে, তেমনি অর্থের মালিকও অর্থকে তার ফেসভ্যালুর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে। এভাবে অর্থ দিয়ে অর্থ লাভের প্রচেষ্টা যেকোনো অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সুদভিত্তিক ঋণের সাথে বাস্তবে সম্পদের কোনো সম্পর্ক থাকে না বলে কৃত্রিম মুদ্রার সৃষ্টি হয়, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অন্তরায়। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের কেনাবেচা পদ্ধতির প্রত্যেকটি লেনদেন হয় বস্তুনির্ভর। ফলে এর দ্বারা কোনো কৃত্রিম মুদ্রা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ থাকে না।
আরআর