এহসান বিন মুজাহির : শ্রীমঙ্গল জামেয়া ইসলামিয়ার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের মাজহাবের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, মাজহাব নতুন করে আবিস্কৃত কোনো বিষয় নয়। মাজহাব নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামগণের যুগ থেকে চলে আসছে। কিন্তু ইদানিং ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অখ্যাত কিছু আলেম মাজহাবের বিরোধীতা করে সরলমনা মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে সমাজে নতুন করে ফেতনার জন্ম দিচ্ছেন। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গল জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে পৌরসভার মহসিন অডিটোরিয়ামে মাজহাবের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, কুরআন-হাদিস প্রমাণ করে মাজহাবের অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইসলামের প্রকৃত আনুগত্য। মাজহাব মানা মানে কুরআন-হাদিসকে মানা। মাজহাবকে অবজ্ঞা করা মানে দ্বীনের সুশৃঙ্খল কাঠামোকে অবজ্ঞা করা। যে ব্যক্তি নিজে মুজতাহিদ নয়, তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো মাজহাব অনুসরণ করা ওয়াজিব। মাজহাব মানা এমন একটি বিষয, যার উপর পুর্ববর্তী-পরবর্তী সকল যুগের বরেণ্য আলেম-মনীষীগণ গুরুত্বারুপ করেছেন। অসংখ্য আলেম এমন, যারা মুজতাহিদ হওয়া সত্ত্বেও মাজহাবের অনুসরণ করতেন। ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিজি, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম ইবনে কাসীর, বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী, মুজাদ্দিদে আলফে সানী, শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভীসহ ইসলামের ইতিহাসের মহামনীষীগণ মাজহাব অনুসরণ করেছেন এবং মাজহাব অনুসরণের ব্যাপার সকলকে উদ্ধুব্ধও করেছেন। পরিস্কার কথা হলো মাজহাব মানার মাঝে সফলতা, না মানার মাঝে ভ্রষ্টতা।
সেমিনার উদ্বোধন করেন, জামেয়া লুৎফিয়া আনোয়ারুল উলুম হামিনদনগর বরুণা মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস আল্লামা খলিলুর রহমান হামিদী-পীর সাহেব বরুণা। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন-কবি ও কলামিস্ট মাওলানা মুসা আল হাফিজ। আলোচনায় অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক-বর্ণভী, শায়খুল হাদিস আল্লামা সাজিদুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষ মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, মাওলানা তাহমিদুল মাওলা। পরিষদের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ সাইফুর রহমানের পরিচালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন-জামেয়া ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলান মুহাম্মদ আব্দুশ শাকুর। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন-শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, পৌর কাউন্সিলর এম.এ সালাম, মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দি আলী, মুফতি মনির উদ্দিন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রহিম, মাওলানা আব্দুর রজ্জাক, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা নুরুল মুত্তাকিন জুনাইদ, মাওলানা আয়েত আলী, মাওলানা শেখ আফজল হামিদী-বর্ণভী, মাওলানা এম.এ রহীম নোমানী, মাওলানা শাব্বির আহমদ, মাওলানা হাদি আলম হামিদী, মাওলানা কাজী শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
ওএস