[caption id="attachment_7080" align="alignnone" width="819"] মিশরের ঐতিহ্যবাহী আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয[/caption]
আব্দুল্লাহ বিন রফিক; ফিচার রাইটার, আওয়ার ইসলাম
খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতকের পূর্বেই মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও আচার-সংস্কারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। দ্বাদশ শতকে এসে মুসলিম সভ্যতা তার ভরা যৌবনে পা রাখে। ইতিহাসের পাতা এক নতুন দিগন্তে মোড় নেয়। চারধার জুড়ে কেবল উদ্ভাবনী-আবিষ্কার আর নির্মোহ অধ্যয়ন-অধ্যাপনার ব্যস্ত প্রতিযোগিতা। কে কাকে পেছনে ফেলে উদ্ভাবনীর নতুন দিগন্তে পা দেবে ? হর-হামেশা শান্তচিত্তে সে চেষ্টাতেই ব্যাকুল শিক্ষার্থীরা।
কেউ হাদীসশাস্ত্র সংকলন ও চর্চাতেই সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেন। কেউ আল-কুরআন ও তাফসীর নিয়ে ; কেউ ইতিহাস নিয়ে ; কেউ রসায়ন ; কেউ পদার্থ ; কেউ গণিতে ; কেউ জীববিজ্ঞান নিয়ে ; আবার কেউ কেউ বহুমূখী বিষয় নিয়েও জীবন উৎসর্গ করেছেন ধ্যান ও জ্ঞানের পরম সাধনায়। তাঁরা পাঠপর্ব যেমন চুকিয়েছেন তেমনি সংকলন ও রচনার ধারাপর্ব সম্পন্ন করেছেন । পরবর্তীতে এই রচনা, সংকলন ও সংগ্রহকে কেন্দ্র করেই সুবিশাল পাঠাগারের সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত রূপ লাভ করে। এই শতকেই মুসলিম বিশ্বের একজন খ্যাতনামা গ্রন্থাগারিক ইবনে নাদীম বেড়িয়ে পড়েছিলেন মুসলিম দেশ ভ্রমনে। নিছক বিনোদন আর ভ্রমন সম্পন্ন করার জন্য নয় ; বরং বেড়িয়েছিলেন মুসলিম বিশে^র জ্ঞানতাপসদের গ্রন্থ তালিকা সংগ্রহে। লিখে ফেললেন বিশ্বের সেরা সংকলনগুলো- ‘‘আল-ফিহরিস্ত’’ [গ্রন্থ তালিকা], ‘‘মু‘জামুল বুলদান’’ [শহরকোষ], ‘‘মু‘জামুল উদাবা’’ [সাহিত্যিককোষ] । গ্রন্থ ও গ্রন্থতালিকার এই বিশাল সংগ্রহশালা নিয়ে মুসলিম সভ্যতার প্রাণে গড়ে উঠে বিশাল বিশাল পাঠাগার। শিল্প-জ্ঞানের সে ছোঁয়া লাগে মুসলিম বিশ্বের নানা প্রান্তে। আজ আমরা সে সব পাঠাগার আর লাইব্রেরী নিয়ে কথা বলবো।
[caption id="attachment_7082" align="alignright" width="822"] মাকতাবাতুল হারাম আল-মাক্কী[/caption]
মক্কা লাইব্রেরী
ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরী হিসেবে বিবেচনা করা হয় মক্কা লাইব্রেরীকে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬০ হিজরীতে আব্বাসীয় শাসক খলীফা মাহদীর শাসনামলে। ‘‘মাকতাবাতুল হারাম আল-মাক্কী’’ নামে লাইব্রেরীটির সর্বপ্রথম নামকরণ করা হয় ১৩৫৭ হিজরীতে বাদশা আব্দুল আজীজের শাসনামলে। প্রথমে লাইব্রেরীটি হারাম শরীফের একটি গম্বুজের অংশবিশেষ ছিলো। প্রয়োজনের তাগিদে পরবর্তীতে লাইব্রেরীটি হারাম শরীফের বাইরে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে লাইব্রেরীটির সংগ্রহে আছে পাঁচ লক্ষাধিক বই। আছে ৮ হাজারের অধিক মুদ্রিত-অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি। দূর্লভ পাণ্ডুলিপি আছে প্রায় ৫ হাজারের মতো। এর মধ্যে এক হাজার আসল পাণ্ডুলিপি আর বাকীগুলো ফটোকপি। যেমন
১. ইবনে নাদীমের (মৃত্যু ৪৩৮ হি.) ‘‘আল-ফিহরিস্ত’’
২. আল্লামা হায়ছামীর ‘‘মাজমাউল বাহরাইন’’ । [এই গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ পাণ্ডুলিপি পৃথিবীতে এই একটাই। এই গ্রন্থের আরেকটি অপূর্ণাঙ্গ পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় দিমাশকের জহিরিয়া লাইব্রেরীতে]
৩. আবুল কাসেম আব্দুর রহমান বিন আব্দুল্লাহ নাফেয়ী’র (মৃত্যু ৩৮৫হি:)
‘‘মুসনাদুল মুআত্তা’’ ।
৪. ইবনুল মানযূরের (মৃত্যু: ৭১১হি:) ‘‘লিসানুল আরব’’ সহ আরও অসংখ্য গ্রন্থের পা-ুলিপি অতি যতœসহ এই লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে।
মক্কা লাইব্রেরীটির বেশ কয়েকটি বিভাগ আছে।
১. পাঠাগার পরিসেবা বিভাগ:
এ বিভাগটি সাধারণ পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত। বিশাল হলরুম । এক লক্ষেরও বেশি সংকলন সমৃদ্ধ এক বিশাল হলরুম। যে কোন আগ্রহী পাঠক এখানকার শীতল নিরিবিলি পরিবেশে এসে অধ্যয়ন করে যেতে পারেন।
২. পা-ুলিপি বিভাগ:
এ বিভাগটি গবেষক ও বিশ্লেষকদের জন্য। গবেষণার জন্য এখানে আছে প্রায় ৬৮৪৭ টি মূল পাণ্ডুলিপি। সেই সাথে ৩৫৮টি অনারবী এবং ২৩১৪ টি ফটো পা-ুলিপিও রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুস্তকাদিসহ বিভিন্ন লাইব্রেরীর পা-ুলিপির তালিকাও আছে এখানে। এখানে সাধারণের প্রবেশ অনুমোদনীয় নয় ।
এছাড়াওে এখানে রয়েছে-
৩. প্রশিক্ষণ বিভাগ
৪. ইলেকট্রনিক লাইব্রেরী বিভাগ
৫. মাইক্রোফিল্ম বিভাগ
৬. ফটো মাইক্রোফিল্ম বিভাগ
৭. হারামাইন স্টল
৮. নারী বিভাগ
৯. যোগান বিভাগ
১০. সংকলন ও সূচি বিভাগ
১১. বিনিময় ও নির্দেশনা বিভাগ
১২. বই বাঁধাই বিভাগ
১৩. সাধারণ সম্পর্ক বিভাগ
১৪. মেরামহত ও সংস্কার বিভাগ
১৫. ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী
জ্ঞান-বিজ্ঞান আর ঐতিহ্যের জন্য তাই মক্কা লাইব্রেরী ইতিহাসে এক স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়ের নাম।
মদীনা লাইব্রেরী
বিশ্বের আরেকটি ঐতিহ্যময় লাইব্রেরীর নাম ‘মদীনা মুনাওয়ারা লাইব্রেরী’। মাদীনাতুর রাসূল বা রাসূলের শহরের প্রাণকেন্দ্রে তার অবস্থান। ৮৮৬ হিজরীর ১৩ রমাযানের অগ্নিকাণ্ডের পূর্বেই এর প্রতিষ্ঠাকাল। সেই অগ্নিকা-েও লাইব্রেরীর অনেক মূল্যবান বইও ভস্ম হয়ে গেছে। তবে তৎকালীন সময়ে মাকতাবা বা লাইব্রেরী বোঝানোর জন্য ‘খিযানাতুল কুতুব’ পরিভাষাটি ব্যবহার করা হতো। ১৩৫২ হিজরীতে ধর্ম ও ওয়াক্ফ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ওবায়েদ মাদানীর পরামর্শে আজকের এই লাইব্রেরী ‘‘মাকাতাবাতু মাসজিদিন নাবাবী’’ নাম ধারণ করে। বিভিন্ন পর্যায়ে লাইব্রেরীর অবস্থানেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। অবশেষে মসজিদে নববীর পশ্চিম দিকের ১২ নং গেট সংলগ্ন ছাদে লাইব্রেরীটি স্থানান্তর করা হয়। অত্যাধুনিক কারিগরী ব্যবস্থাপনায় সুবিন্যস্ত ও সুশৃঙ্খল করে সাজানো হয় গোটা লাইব্রেরীকে। কয়েক ভাগে বিভক্ত মনোরম এই লাইব্রেরীটি।
১. অধ্যয়ন কক্ষ : এটি মসজিদের ছাদের ওপর অবস্থিত। এতে আছে ৩৫৮ টি সেলফ, প্রায় লাখখানেক বই এবং গবেষকদের জন্য শ’তিনেক চেয়ার।
২. ডিজিটাল লাইব্রেরী : এতে আছে ওর্য়াল্ড নেটওয়ার্কের সাহায্যে কম্পিউটারে অধ্যয়ণের সুব্যবস্থা। পাণ্ডুলিপিসহ অসংখ্য গ্রন্থের বিপুল সমাহার। আছে শ্রুতি লাইব্রেরী। তিলাওয়াত ও হারামাইনের খুতবা, অসংখ্য আলোচনা, দরস-নসীহত সবই শোনা যায় এর সাহায্যে। এছাড়া আরও অনেক বিভাগ এর ।
৩. নির্দিষ্ট অধ্যয়ন কক্ষ
৪. সাময়িকী বিভাগ
৫. দূর্লভ গ্রন্থ বিভাগ
৬. নারীদের অধ্যয়ন কক্ষ
৭. বিশেষ সংগ্রহ বিভাগ
৮. বাঁধাই প্রকল্প
৯. কিতাব ও পা-ুলিপি মেরামত ও সংরক্ষণ বিভাগ
১০. হস্ত ও মেশিনে কিতাব লিখন বিভাগ
১১. ফটো বিভাগ
মদীনার বুকে ‘‘মদীনা মুনাওয়ারা লাইব্রেরী’’ তাই ইসলামের অন্যতম স্বারক হয়ে আজও বিরাজ করছে। মুসলমানদের তাদের গর্বগাঁথা ইতিহাস প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে চলেছে।
আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরী
আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব ২৮৮অব্দে টলেমী-১ম দিমিত্রিয়াস-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠা করেন ‘‘লাইব্রেরী অব আলেকজান্দ্রিয়া’’। পরবর্তীরতে লাইব্রেরীটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত ৬০০ বছরের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখার আবিষ্কার ও দলীলের স্বাক্ষী হয়ে ছিলো এই লাইব্রেরীটি। লাইব্রেরিটি সকল ভাষাভাষী নর-নারী সংস্কৃতিবানদের জন্য উন্মুক্ত ছিলো। প্রায় ১০০ জন বিদ্যান সর্বক্ষণ এখানে অবস্থান করে লেখালেখি, গবেষণা, অনুবাদ ও অনুলিপি কার্য সম্পন্ন করেন। অনেকের মতে প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীতে ৭ লক্ষের মতো চামড়া বা কাগজে পেচানো প্রাচীন গ্রন্থ। ১ লক্ষেরও বেশি ছাপা বই কাঠের শেল্ফে সংরক্ষিত ছিলো। এর মধ্যে অ্যাসিরিয়া, গ্রীস, পারস্য, মিশর ও ভারতবর্ষ প্রভৃতি অঞ্চলের মূল্যবান দলীলও রয়েছে।
আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরী ধ্বংসের প্রায় ১৫ শতাব্দী পর ঘটলো এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৭৪ সালে আলেকজান্দ্রিয়া বিশ^বিদ্যালয়ে এক কমিটি গঠিত হয় , যেখানে সিদ্ধান্ত হয় আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরী পুনঃনির্মাণ করা হবে। এজন্য তারা প্রাচীন লাইব্রেরীর কাছাকাছি একটি স্থান নির্বাচন করেন। অল্পদিনেই তাদের এই সিদ্ধান্ত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাতে সাড়া দেয়। এর অন্যতম উদ্যোগী ছিলেন মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক। ইউনেস্ক খুব দ্রুত এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়। ১৪০০ নকশার মধ্যে নরওয়ের আর্কিটেকচারাল ফার্মের নকশাটিকে নির্বাচন করা হয়। ১৯৯৫ সালে এর নির্মাণকার্য আরম্ভ হয়। নির্মাণে ব্যয় হয় মোট ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ১২ই অক্টোবর ২০০২ সালে।
বিশাল এই প্রজেক্টে আছে ৮০ লক্ষ বই রাখার মতো শেলফ। ১১টি চৌবাচ্চায় স্থাপিত প্রায় ৭০ হাজার বর্গমিটার জুড়ে আছে এর মূল পাঠকক্ষটি। এর ভেতরে আছে বিশাল কনফারেন্স সেন্টার, ৪ টি মিউজিয়াম, ৪ টি গ্যালারী। পা-ুলিপি সংরক্ষণের জন্য আছে বিশেষ ল্যাব। বিশেষ গবেষণা কেন্দ্র আছে ৭ টি। প্রদর্শনীর জন্য আছে ৭ টি বিশেষ গ্যালারী।
মূল পাঠকক্ষের ওপরে আছে দীর্ঘ ৩২ মিটারের কাঁচের ছাদ। ধূসর বর্ণের আসওয়ান গ্রানাইট দিয়ে এর দেয়াল তৈরি করা হয়েছে, যাতে ১২০ ধরণের রকমফের হস্তলিপি খোদাই করা আছে। এভাবেই তিলতিল করে আলেকজান্দ্রিয়া এসে দাঁড়িয়েছে আজকের এই অবস্থায়।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী
বিখ্যাত লাইব্রেরীর কথা আসলেই আল-আজহারের নাম নিতেই হবে। শায়খ আব্দুহুর তত্ত্বাবধানে ১৩১৪ হি./ ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রায় ৭৭০৩ টি বই নিয়ে প্রথমে এর যাত্রা শুরু হয়। এরমধ্যে ক্রয়সূত্রে পাওয়া বই ছিলো ৬৬১৭ টি আর দাতাসূত্রে ১০৮৬ টি। এই লাইব্রেরীতে আছে প্রাচীন ও দূর্লভ সব বই ও পাণ্ডুলিপি। হিজরী তৃতীয় ও তার পরবর্তী শতাব্দীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাণ্ডুলিপি বেশ যত্নসহ এতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিভিন্ন যুগের এবং বিভিন্ন শহরের আলকুরআনের বেশ কিছু প্রাচীন নুসখা বা কপিও এখানে আছে। কোনও কোনটা কূফী ষ্টাইলে, কোনটা পারস্য ষ্টাইলে লেখা। কিছু নকশা করে আর কিছু খোদাই করে তৈরি করা। বিশেষতঃ হিজরী নবম শতাব্দী ও তার পরবর্তী যুগের পাণ্ডুলিপির সংখ্যা সবচে’ বেশি সংরক্ষিত আছে এখানে। আগে এর পাণ্ডুলিপি সংখ্যা ছিলো প্রায় ২৮ হাজার। ২০০৫ সালে গিয়ে এর সংখ্যা দাড়ায় ৪০ হাজারে। ৬৩ টি শাস্ত্র ও বিষয়ে বর্তমানে ৪৫০ আধুনিক শেলফসমৃদ্ধ ৩১৮ টি হলরুম আছে লাইব্রেরীটিতে। আছে ৭৪ টি কম্পিউটার। আলাদা প্রকাশনা বিভাগও আছে লাইব্রেরীর। আছে ২৬ টি নিজস্ব প্রেস মেশিন। বর্তমানে দু’লক্ষেরও অধিক গ্রন্থ আছে এখানে। চার মাযহাবের ফিক্হ-হাদীস-ইতিহাস, তাফসীর, সীরাত, আধ্যাতিকতা, ভাষা-সাহিত্য, বালাগাত ও অলঙ্কার, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ, রাজত্ব ও বাদশা নামদারদের কথকথন সহ বিভিন্ন ধরণের গ্রন্থ আছে এখানে। এভাবে জামে আজহার লাইব্রেরী বর্তমান দুনিয়ার ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক বৃহৎ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে আজ।
আরআর