শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সৈয়দ ফজলুল করীম ছিলেন অতুলনীয় সমাজ সংস্কারক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

fazlul karim

ঢাকা : চরমোনাইয়ের মরহুম পীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. এর আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক দর্শন শীর্ষক এক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন, ইসলামি এ চিন্তাবিদ সমাজ ও রাজনীতি সংস্কারে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেন।

শুক্রবার (২২ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে লোকবক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. রিসার্চ সেন্টার এটির আয়োজন করেছিল।

অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সাম্রাজ্যবাদ-কায়েমি স্বার্থবাদের মূলোৎপাটনের আহবান জানিয়েছিলেন মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ.। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ‘মুসলিম জাতিসংঘ’ গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। সার্বিকভাবে তিনি ছিলেন রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতার প্রাণপুরুষ।’

জাতীয় শিক্ষক ফোরামের আহবায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. মনে করতেন তাসাউফ ও তাযকিয়ায়ে নফস আত্মিক প্রশান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। তিনি তার পিতা সৈয়দ এছহাক রহ. এর কাছ থেকে খেলাফত লাভ করেন। তার কাছ থেকে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক সুহবত ও রুহানি ফায়েজ লাভে ধন্য হন।

তিনি বলেন, মানুষকে ইসলামের পথে আহবানের জন্য বাংলার প্রতিটি জেলা, থানা এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে বেড়িয়েছেন। সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. মনে করতেন চারিত্রিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনীতিসহ সামগ্রিক পরিশুদ্ধি ব্যতিত আত্মিক পরিশুদ্ধি পরিপূর্ণ হতে পারে না।

ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. ছিলেন রাজনৈতিক সংস্কারক। শুধু নেতা নয় নীতির পরিবর্তন চাই অর্থাৎ নেতা ও নীতি উভয়েরই কল্যাণের পথে পরিবর্তন হওয়া চাই। তার এই ঘোষণা রাজনীতিবিদদের চিন্তায় নতুন ঝড় সৃষ্টি করে। তার এই দর্শনের সঙ্গে অধিকাংশ রাজনীতিবিদই একমত হবেন।’

ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তিনি সর্বদাই তৎপর ছিলেন মন্তব্য করেন গাজী আতাউর রহমান।

মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম আল-আমীন এর সভাপতিত্বে লোকবক্তৃতায় উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, সহকারী পরিচালক মুহা. আজিজুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ হ ম আলাউদ্দীন, এডমিন পরিচালক মুহা. হাছিবুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ পরিচালক শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ