খালিদ হহাসান, ঝিনাইদহ থেকে : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ওয়াড়িয়া গ্রামের স্কুলছাত্রী মিম খাতুন হত্যাকান্ডের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি উদ্ধার করতে পারে নি কোনো ক্লু।
এদিকে দীর্ঘ সময়ে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় হতাশ হচ্ছেন নিহতের পরিবার। হত্যাকারীদের শাস্তি ও মামলার ভবিষ্যত নিয়েও চিন্তিত নিহতের পরিবার। তবে পুলিশ মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের ওয়াড়িয়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে মিম খাতুন গত বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রতিবেশী হুজুর আলীর বাড়িতে মিলাদ শুনতে বাড়ি থেকে বের হয়। মিলাদ শেষে বাড়িতে ফিরে না আসলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মিমের পরিবারের লোকজন। পরদিন ৩১ অক্টোবর দুপুরে গ্রামের চিত্রা নদীর পাড়ে একটি মেহগনি বাগানে মীমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ঝিনাইদহ মর্গে পাঠায়।
নিহতের বাবা ইকবাল হোসেন জানান, মিম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গত ১৩ই ডিসেম্বর ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আমলি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭২৭/১৫। কিন্ত দীর্ঘ সময়েও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদ্ধার, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে মামলার নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেন জানান, মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।