ডেস্ক রিপোর্টার : গতকাল সোমবার আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমে “আদর্শ নারী’র স্টাফদের পদত্যাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। এক ইমেইল বার্তায় প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাসিক আদর্শ নারীর সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী।
প্রতিবাদ লিপিতে তিনি জানিয়েছেন, ৪ জুলাই আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর নিউজ পোর্টালে মাসিক আদর্শ নারী সম্পর্কে প্রকাশিত নিউজ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নিউজটির তথ্য অধিকাংশই ভুল ও বাস্তবতাবিবর্জিত। মাসিক আদর্শ নারীর পক্ষ থেকে আমরা এর প্রতিবাদ করছি।
নিম্নে এর কয়েকটি বিষয়ে আমাদের বক্তব্য প্রদান করা হলো,
নিউজটির শিরোনাম দেয়া হযেছে,“আদর্শ নারী’র স্টাফদের পদত্যাগ”। এতে স্টাফদের গণ-পদত্যাগ বুঝা যায়। এটা ভুল তথ্য। মাসিক আদর্শ নারীর স্টাফদের গণ-পদত্যাগের কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং কর্তব্য কাজে অবহেলা এবং মাসিক আদর্শ নারীর স্বার্থবিরোধী কিছু তৎপরতার কারণে মাওলানা মুনীরুল ইসলাম সাহেবকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ জন্য তিনি তার ফেসবুক স্টাটাসে পদত্যাগের কোন কথা না বলে নতুন হিসাব ও নতুন সূর্যের কথা বলেছেন।
অবশ্য সেই সাথে কাজে অবহেলা করে সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষিতে কম্পিউটার অপারেটর যায়েদকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু পরে তিনি নিজের ত্রুটি স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় এবং ভবিষ্যতে ঠিকভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করার পর তার অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাকে তার কাজে বহাল রাখা হয়েছে।
ওদিকে মাওলানা মুনীরুল ইসলাম সাহেবকে অব্যাহতি দেয়ার পর (অজানা কারণে) মাওলানা এমদাদুল হক তাসনিম তীব্র চাপের মধ্যে পড়েন। তখন তিনি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। সে কথা তার ফেসবুক স্টাটাসেই বুঝা যায় যে, তিনি অব্যাহতি নেয়ার কারণে হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি যে সেখানে একজন ছাড়া সব স্টাফের চলে যাওয়ার কথা লিখেছেন, সেটা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ দু’জনের বিদায়ে কি সকল স্টাফের বিদায় হয়?
স্টাফদের দাবী, দাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে নিউজে যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা অব্যাহতিপ্রাপ্তদের দোষকে আড়াল করার প্রয়াস মাত্র। কেননা, তাদের বিদায়ের সময় এসব নিয়ে কোন কথাই হয়নি। তা ছাড়া সেসব দাবীর প্রসঙ্গ উত্থাপনের অবকাশই থাকে না। কেননা, তাদের বিদায়ের আগেই ইতোমধ্যে সকল স্টাফের বকেয়া বেতন ঈদ বোনাসসহ সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হয়েছে। আর অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে পরে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অব্যাহতি দেয়া স্টাফগণ যদি নিজেদেরকে শুধরে নেন এবং কাজে-কর্মে কাঙ্ক্ষিতভাবে একটিভ হন, তাহলে তাদের জন্য আদর্শ নারীর দরজা খোলা থাকার কথা তাদেরকে তিনমাস সময় দানের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ইতোমধ্যে কম্পিউটার অপারেটর যায়েদ সেই সুযোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক যে, অন্য দু’জন তাদের কাজের অবহেলার কারণে ‘সরি’ পর্যন্ত বলার সৎসাহস দেখাননি। বরং উল্টো দম্ভভরে সেই সুযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তাদের একজন অপপ্রচারে নেমেছেন।
মাসিক আদর্শ নারী পাঠক-পাঠিকা নন্দিত জনপ্রিয় পত্রিকা। তাই এখানে জনস্বার্থই আগে দেখতে হয়। সে জন্য কারো থাকা বা না থাকার দ্বারা যদি পত্রিকার কল্যাণ হয় এবং সঠিক সময়ে বের করা সহজ হয়, তা-ই তো করণীয়। সেক্ষেত্রে যারা থাকবেন, তারাও খুশী মনে থাকবেন এবং যারা বিদায় হবেন, তারাও খুশী মনে বিদায় হবেন--ইসলাম এ শিক্ষাই দেয়। এক্ষেত্রে অপপ্রচার অনভিপ্রেত।
সুতরাং ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করে কোন ব্যক্তিগত রেষারেষি নয়, বরং উদার আলোচনা ও নিজেকে শুধরে নেয়ার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা উচিত বলে আমরা মনে করি। আশা করি, যায়েদ সাহেবের মতো অন্যরাও এ পথে এগুবেন এবং কোনরূপ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পারস্পরিক ইসলামি ভ্রাতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলের মঙ্গল করুন এবং ইসলামকে সর্বতোভাবে বিজয়ী করুন। আমীন।
বিনীত
মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর/ওএস