নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া লাল-সবুজের প্রিয় ট্রেনটা ফেলে শুধু ইঞ্জিনটা চলে গেল! যাত্রীরা আহা করে ওঠেন। আজ রোববার বিকেল চারটা ৫০ মিনিটের সময় রাজশাহীর আড়ানি ও নাটোরের আবদুলপুর স্টেশনের মাঝখানে এ ঘটনা ঘটে। পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনটা বগি ফেলে চলে যায়। ঘটনার ২৭ মিনিট পরে চালক বুঝতে পেরে ইঞ্জিন নিয়ে এসে আবার বগি নিয়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিকেল চারটার সময় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনের একজন যাত্রী ছিলেন নাটোরের তমালতলা কৃষি ও কারিগরি কলেজের উপাধ্যক্ষ বাবুল আকতার। তিনি জানান, রাজশাহীর আড়ানী স্টেশন পার হওয়ার পরে বগি ফেলে ইঞ্জিন চলে গেছে। বগিটা আড়ানী ও আবদুলপুর স্টেশনের মাঝখানে নাটোরের লুকমানপুর এলাকায় থেমে থাকে। তিনি বলেন, বগি ফেলে ইঞ্জিন চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হইচই শুরু করেন। স্থানীয় উৎসুক জনতা এ সময় ট্রেনটির কাছে ভিড় জমায়।
বাবুল আকতার জানান, যেখানে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়, সেখানে এই ট্রেন কখনো দাঁড়ায় না। এ জন্য স্থানীয় লোকজন ট্রেনটি দেখতে ভিড় করে। তবে যাত্রীরা বেশ অসহায় বোধ করতে থাকেন। তারা ফোন করে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনের সমস্যার কথা জানাতে থাকেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর ইঞ্জিনটি ফিরে আসে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল এর প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জানান, কয়েক দিন আগে ভারত থেকে নিয়ে আসা লাল-সবুজ রঙের বগি নতুন হলেও ইঞ্জিনটা আগেরই রয়ে গেছে। বগি ও ইঞ্জিন দুইটা দুই প্রযুক্তির হওয়ার কারণে তাদের কর্মীরা এখন এর ব্যবহারটা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, রেলওয়ের মাঠ পর্যায়ে যারা এই কাজ করেন তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ারও সময় পাওয়া যায়নি। ঈদের আগেই তড়িঘড়ি করে ট্রেন চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৪টা ৫০ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটেছে। ৫টা ১৭ মিনিটের সময় ইঞ্জিন আবার ফিরে এসে বগি নিয়ে গেছে। এতে কারও কোনো বিপদ হয়নি। মাত্র ২০ মিনিট সময় বিলম্ব হয়েছে।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর/ওএস