ফারুক ফেরদৌস : বাসিমা একজন ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি আগ্রাসনে তিনি নিজের জন্মভূমি হারিয়েছেন। গত প্রায় ২২ বছর ধরে তিনি বাস করছেন লেবাননে সাবরা শরণার্থী শিবিরে। পরিবারের খরচ যোগাতে তাকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। একটি উইমেনস সেন্টারে কাজ পাওয়ার পর তার অবস্থা কিছুটা ভালো। তার সন্তানরা এখন কলেজে যায়। তিনি এখন অন্যান্য দুঃখী মানুষের খোঁজ খবর করেন। তার চেয়েও দুরবস্থায় পড়া মানুষদের সাহায্য করতে চেষ্টা করেন। তার সাথে থাকেন তার দীর্ঘ দিনের বন্ধু নাবিলা। তারা এখন সিরিয়ান শরণার্থীদের জন্য কাজ করছেন। জন্মভূমি, বাড়িঘর সব হারিয়ে আসা সিরিয়ানদের ক্যাম্পে জায়গা করে নিতে সাহায্য করছেন।
উদ্বাস্তুদের এই নতুন মিছিল ক্যাম্পের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। আগে থেকেই শরণার্থীদের তুলনায় ক্যাম্পের অবকাঠামো খুব কম। নতুন শরণার্থীদের কারণে এই সংকট আরো বেড়ে যাচ্ছে।
[caption id="attachment_4516" align="alignleft" width="423"] দু’জনের বন্ধুত্ব দীর্ঘ আট বছরের[/caption]
২০১১ থেকে চলমান যুদ্ধে গৃহহীন সিরিয়ান শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সিরিয়ার সব প্রতিবেশী দেশকেই। সিরিয়ার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় দুই মিলিয়ন সিরিয়ান। এদের অর্ধেকই অনিবন্ধিত। শুধু বেঁচে থাকার জন্য কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে জন্মভূমি ছেড়ে আসা মানুষগুলোকে।
বাসিমা বলেন, আমি অনুভব করি এদে রকে আমার সাহায্য করা দরকার। কারণ আমরা যখন এখানে এসেছিলাম তখন আমাদের পরিবারকেও মানুষ সাহায্য করেছিলো। সিরিয়ানদের পাশেও আমাদের দাঁড়ানো উচিত।
সূত্র : আল জাজিরা ইংলিশ
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ