খালিদ হাসান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের ফাঁকা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান।
ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি একটি স্যুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৬টি হাসুয়া ও ৫টি বোমা উদ্ধার করা হয়।
নিহত শহীদ আল মাহমুদ (২৫) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বদনপুর গ্রামের রজব আলী বিশ্বাসের ছেলে তার বাবার নাম রজব আলী বিশ্বাস। মাহমুদ ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেছেন। অপরজনের নাম আনিসুর রহমান (২৬)। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া এলাকার সাত্তার হোসেনের ছেলে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকায় একদল দুর্বৃত্তরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ সময় মহাসড়কে দায়িত্বরত টহল পুলিশ তেতুলবাড়িয়া এলাকায় পৌছালে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ওই দুইজন নিহত হন।
তিনি আরো জানান, ২০ মিনিট গোলাগুলির পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এতে পুলিশের এসআই প্রবীর, সদস্য রাব্বি ও তরিকুল আহত হন।
ঝিনাইদহ মর্গে নিহত শহীদ আল মাহমুদের বড় ভাই আব্দুর রহিমের জানান, তার ভাইকে গত ১৩ জুন রাত ১২টার দিকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে ৮/১০ জন সাদা পোশাকের লোক তুলে নিয়ে যান। নিহত শহীদ কোন রাজনীতি করতো না বলে জানায় তার ভাই।
নিহতের মামা আলতাফ হোসেন জানান, ওর নামে তো কোন মামলা ছিল না। তবে কেন তাকে হত্যা করা হলো।
তবে এলাকাবাসী জানায়, নিহত মাহমুদ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদিকে, ঝিনাইদহ শহরের পাবলিক হেলথ জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন সোহেল রানা (২২) ২৭ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৩ জুন শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর একটি কালে রংয়ের হাইয়েজ গাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কে বা করা তাকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে তার কোন সন্ধান নেই। সোহেল রানা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কামারকুন্ডু গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। সোহেল রানার ভাই মাসুদুর রহমান জানান, ঘটনার দিন সোহেল রানার সাথে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি কথা বলতে দেখা গেছে। এ ঘটনার পর থেকেই সোহেল রানাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ধারণা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে। তবে পুলিশ সোহেল রানাকে আটক করে নি বলে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, শহিদ আল মাহমুদকে গত ১৩ জুন নিজ বাড়ি সদরের বদনপুর থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায় বলে গত ১৮ জুন পরিবারের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয়েছিলো।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর/ওএস