ফারুক ফেরদৌস : কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদাসিরিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর ৩৯ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাসের হার ৭২.২৯ শতাংশ। মুমতায হয়েছে ১১২৭ জন শিক্ষার্থী। সারাদেশের কওমি মাদ্রাসগুলোর সবচেয়ে বড় শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি।স্বাভাবিকভাবেই কওমি অঙ্গনে এই পরীক্ষাটি থাকে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। গতকাল প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে এখন চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ। শীর্ষ মেধাতালিকায় উঠে আসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বইছে খুশির জোয়ার। গতকাল সন্ধ্যার দিকে বেফাকের পরীক্ষার মান ও পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে আওয়ার ইসলাম কথা বলেছে দেশের শীর্ষ দুই চিন্তক আলেমের সাথে।
[caption id="attachment_4329" align="alignleft" width="333"] মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বললেন, কওমি মাদ্রাসাগুলোর বিভিন্ন বোর্ড একীভূত হোক বা জোটবদ্ধ হোক। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কওমি মাদ্রাসার উন্নয়ন ও মূল ঠিক রেখে এর সংশোধনের জন্য কাজ করুক।[/caption]
প্রথমেই যোগাযোগ করা হয় দেশের শীর্ষ আলেম দৈনিক ইনকিলাবের সহসম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর সাথে। বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ ছাত্রদের মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের চলমান অন্যান্য শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় কওমি মাদ্রাসা ও বেফাকের পরীক্ষাপদ্ধতি অনেক উন্নত। এখানে দুর্নীতির কোন রেকর্ড নেই। উত্তীর্ণ ছাত্ররা দেশ ও ইসলামের জন্য ইখলাসের সাথে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বর্তমান পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে কোন প্রশ্ন না থাকলেও কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা ও সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।
দেশের সব কওমি মাদ্রাসাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই বিদগ্ধ আলেম বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসাগুলোর বিভিন্ন বোর্ড একীভূত হোক বা জোটবদ্ধ হোক। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কওমি মাদ্রাসার উন্নয়ন ও মূল ঠিক রেখে এর সংশোধনের জন্য কাজ করুক।’
[caption id="attachment_4331" align="alignleft" width="335"] মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদিন মনে করেন, কওমি মাদ্রাসার পরীক্ষাপদ্ধতি ও প্রশ্নপত্রের বহু পূর্ব থেকে চলে আসা ধারাটাই সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন চালু হওয়া সৃজনশীল পদ্ধতির অনুরূপ।[/caption]
বেফাক বোর্ডের ফলাফলে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাগত অবস্থার একশ’ ভাগ সুষ্ঠু ও সঠিক চিত্র উঠে এসেছে মন্তব্য করে জামিয়াতুল উলুম ইসলামিয়ার শিক্ষাসচিব ও কথাসাহিত্যিক মাওলানা মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদিন বলেন, ‘এটা বাস্তবধর্মী ফলাফল। পাশের হার যা এসেছে এটাই বাস্তবতা। কারণ বেফাক বোর্ডের পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে কোন দুর্নীতি বা এখানে প্রভাবশালী কোন মহলের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই।’
কওমি মাদ্রাসার বর্তমান পরীক্ষাপদ্ধতি ও প্রশ্নপত্রের ধরণ নিয়েও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তার দৃষ্টিতে কওমি মাদ্রাসার পরীক্ষাপদ্ধতি ও প্রশ্নপত্রের বহু পূর্ব থেকে চলে আসা ধারাটাই সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন চালু হওয়া সৃজনশীল পদ্ধতির অনুরূপ। তাই তিনি মনে করেন. এটা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার দরকার নেই।
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ