বাংলাদেশে নাগরিকদের নানা ধরনের জরুরি সমস্যার সমাধান দিতে চালু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক।
সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই সেবাটি চালু করতে যাচ্ছে।
তারা দাবি করছে সারা বিশ্বের ইতিহাসে এটা হবে সবচেয়ে আধুনিক একটা হেল্প ডেস্ক।
আজ সোমবার এই বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
এর আগেও জরুরি সেবার জন্য সরকারের বেশ কিছু কল সেন্টার চালু করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ আছে এসব কল সেন্টার প্রয়োজনের সময় কাজে আসে না।
নতুন এই হেল্প ডেস্ক কিভাবে সেবা দেবে? উদাহরণ দিতে যেয়ে সরকারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলছিলেন “কেও যদি লিফটে আটকা পরে এবং বলে আমার লোকেশনটা এই বা গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে একটি শর্টকোড নম্বর ২০৪১ এ ফোন করবে এবং তার কাছে ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্স পৌছে যাবে”।
সরকারের ৩৭ টি মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কলসেন্টার চালু করা হয়েছে।
তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে প্রয়োজনের সময় কলসেন্টারে ফোন করে পাওয়া যায় না বা ফোন বন্ধ থাকে। নতুন এই হেল্প ডেস্ক এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে কিনা?
এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন “এই সমস্যাগুলোকে এড্রেস করা হচ্ছে। কল সেন্টারগুলোকে কিভাবে অ্যাক্টিভ করা যায় সেটা এই ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক প্রকল্পের আওতায় থাকবে”।
“কে কিরকম সেবা পেল বা সে কতখানি সন্তুষ্ট হল সেসব তথ্য পাবলিক করবো, ফলে সেটা আস্তে আস্তে প্রেশার তৈরি হবে সেন্টারগুলোর ওপর” বলছিলেন মি. পলক।
সূত্র : বিবিসি বাংলা