আওয়ার ইসলাম ডেস্ক : মেয়ে মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা জামাতা বাবুল আক্তার নিজেই করেছেন, এমন কথা বিশ্বাস করেন না মিতুর বাবা বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। তিনি অভিযোগ করে শুরু থেকেই একটি চক্র দুটি পরিবারের চরিত্র হননের চেষ্টা করে আসছে। সেই চক্রের চক্রান্তেরই অংশ হিসেবেই এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন নিউজ প্রচার করা হয়েছে।
নিহত মাহবুবা আক্তার মিতুর ছোট বোন শায়লা মোশাররফ নিনজা দুটি সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কথিত একটি অনলাইন পত্রিকা অত্যন্ত বাজেভাবে আমার বোন-জামাইকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ সেখানে আমাদের কারো কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি। এতো অরুচিকর সংবাদ বিশ্বাস করা তো দূরের কথা, কল্পনারও বাইরে। কোনো পাঠকই এমন সংবাদ বিশ্বাস করতে পারে না।’
গত শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নেয় খিলগাঁও থানা পুলিশ। পরে স্ত্রী হত্যার বিষয়ে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় বাবুল আক্তার নিজেই তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এটা স্বীকার করেছেন।
শনিবার সকাল পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কেউই বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্পষ্ট করেননি।
অবশেষে শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এই মামলার বাদী তিনি। তাই শনাক্তকৃত আসামিদের বিষয়ে জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর ডিএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারের (ডিসি পূর্ব) গাড়িতে তাকে খিলগাঁও মেরাদিয়ার ভূঁইয়াপাড়ার শ্বশুরবাড়িতে নামিয়ে দেয়া হয়।
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ