ডেস্ক নিউজ : গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন ব্রিটেনের বেশিরভাগ মানুষ। যার প্রতিক্রিয়ায় এরই মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরেন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্যামেরন ঘোষণা করেছেন, আগামী অক্টোবরে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। তখনই নতুন কেউ যুক্তরাজ্যের হাল ধরবেন।
ক্যামরনের এই ঘোষণার পর সব মহলে চাউর হচ্ছে একটি প্রশ্ন, কে হচ্ছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী? ধারণা করা হচ্ছে, আগামী তিনমাস পরে কনজারভেটিভ পার্টির কনফারেন্সে নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে।
নিয়মানুযায়ী প্রার্থীরা দুজন এমপির মাধ্যমে কনজারভেটিভ প্রাইভেট কমিটি মেম্বারস বা '১৯২২ কমিটি'র চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডির কাছে আবেদন পেশ করবেন।
এদের মধ্যে বর্তমান টরি এমপিদের (দলীয় সংসদ সদস্য) ভোটে একজন প্রার্থী মনোনীত হন, তবে তিনিই দলীয় প্রধান ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
কিন্তু যদি এমপিরা দু’জনের পক্ষে মতামত দেন, তবে দলের সব সদস্য ব্যালট পেপারের মাধ্যম ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করবেন।
যদি তিনজন, চারজন বা আরো বেশি সদস্য প্রার্থী মনোনীত হয়, তবে এমপিরা প্রথমে নিজেদের ভোটে দু’জনে সীমাবদ্ধ করবেন। তারপর দলীয় সদস্যদের ভোট নেবেন।
কমিটি চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডি নেতা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন এবং ভোট পরিচালনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তালিকায় আছেন
বরিস জনসন
ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে ইতিবাচক অবস্থানে চলে আসা লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচেনা করা হচ্ছে।
দলের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্নের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের জন্য সাহসী প্রচারণা চালিয়েছেন।
বেক্সিট পক্ষ জিতে যাওয়ায় সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ৫২ বছর বয়সী জনসনের নিজেরও আগ্রহ রয়েছে।
রুথ ডেভিডসন
স্কটিশ কনজারভেটিভ নেতা রুথ ডেভিডসনের একসময় দলের নেতৃত্বের জন্য ফেবারিট ছিলেন। বর্তমানে তিনি এমপি নন। এজন্য হয়ত ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
গত মাসের আঞ্চলিক নির্বাচনের ৩৭ বছর বয়সী রুথ এসএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা হয়ে উঠেছেন।
জর্জ অসবোর্ন
অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের ঘনিষ্ট বন্ধু। তবে টরি এমপি ও দলের তৃণমূল পর্যায়ে তিনি মোটেই জনপ্রিয় নন। তিনি আবার ব্রেক্সিটের বিপক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন।
তেরেসা মে
ব্রিটিশ রাজনীতিতে শান্ত ভদ্র নারী বলে পরিচিত তেরেসা মে (৫৯)।
বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসার দলীয় প্রধান হওয়ার জন্য তার আগ্রহ রয়েছে। বেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সুবাদে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তিনিও লড়াই করতে পারেন।
মাইকেল গোভ
কনজারভেটিভ দলের ওয়েবসাইটের এক জরিপ অনুযায়ী, দলের ৩১ শতাংশ সদস্য ডেভিড ক্যামেরনের পর মাইকেল গোভকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
গুঞ্জন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী হতে না পারলেও অন্তত ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হবেন গোভ।
এ তালিকায় স্টিফেন ক্রাবও রয়েছেন।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস