খালিদ হাসান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপার রোজিনা নামের এক গৃহবধুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার উপর ফেলে রেখে গেছে দূর্বত্তরা। বুধবার রাত ১০ টার দিকে বড়দাহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ রাস্তা পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার বড়দাহ গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী রোজিনা খাতুন দুই সন্তানের জননী। তার ছেলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছে। আর ছোট মেয়ের বয়স ৪ বছর। রোজিনার স্বামী মাসুদ রানা ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন।
বুধবার রাতে তারাবির নামাজের সময় রোজিনাকে বাড়ীতে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ীর আশে পাশের মাঠ পানবরজসহ কয়েকটি জায়গায় খোজাখুজির পর রাত ১০টার দিকে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু যেখানে মৃতদেহ পড়ে ছিল সেখানে কোন রক্তের চিহ্ন ছিল না। যে কারনে লাশ দেখে পরিবারের সন্দেহ হয় রোজিনাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মহাসড়কে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
রোজিনার পিতা আব্দুল আজিজ জানান, তার মেয়ের লাশ রাস্তায় পড়ে ছিল। তবে সেখানে কোন রক্ত না থাকায় তার সন্দেহ তার উপর শারিরীক নির্যাতনের পর হত্যা করে মহাসড়কে ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাস্তার পাশ থেকে গৃহবধু রোজিনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধু রোজিনা কে ধর্ষন ও হত্যা করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করার পর জানা যাবে।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটক/ওএস