ওমর শাহ : তিনি পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত বিতর্কিত মুফতি। নাম মুফতি আব্দুল ক’বী। মিডিয়ার নিয়মিত সমালোচিত মুখ। ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে তার মনগড়া ব্যাখায় ইতোমধ্যেই খ্যাতির শীর্ষে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের এক মডেলের সঙ্গে সেলফি তুলে আবারও সমালোচনার মুখোমুখি হন এ বিতর্কিত মুফতি। তাকে রঙ্গিলা মুফতি নামেও সম্বোধন করা হয়। তিনি শুধু একজন মুফতিই নন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল পিটিআই এর ওলামা শাখার প্রধানও।
মুফতি আব্দুল ক’বীর মতো অপরদিকে তার সেলফিসঙ্গী মডেল কিন্দুল বিলুচও মিডিয়ার সমালোচিত মুখ। ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদীসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে মন্তব্য করে তিনিও মিডিয়ায় সমালোচিত হয়ে উঠেন। দু,জনই সমালোচনার পাত্র হলেও এ সেলফি মিডিয়ার প্রকাশ হওয়ার পর একজন অপরজনের ওপর এর দায়ভার চাপাচ্ছেন।
মুফতি আব্দুল ক’বীর দাবি, কিন্দুল বিলুচ তার সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সে রমজানের পূর্ণ রোজা রাখবে। এ শর্তে আমার সঙ্গে দেখা করেছে। সেই আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা করেছে। সাক্ষাতের এক পর্যায়ে আমার সঙ্গে সেলফি তুলে। আমরা একটি হোটেলে সাক্ষাৎ করি ও একসঙ্গে ইফতারও করি।
অপরদিকে কিন্দুল বিলুচ দাবি করেন, আমাকে মুফতি সাহেবই ডেকে নিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেন, রমজানের চাঁদ দেখার আগেই আমি তোমাকে দেখতে চাই। তার ইচ্ছায় আমি তার সঙ্গে দেখা করি।
সেলফিটি প্রকাশ হওয়ার পর পাকিস্তানের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি থেকে মুফতি আব্দুল ক’বীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়। যার কারণে তিনি আগামী শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না।
কিছুদিন আগেও মুফতি আব্দুল ক’বী বলেন, হাদিস শরিফে আছে, তোমরা যখন কোন সুন্দর চেহারা দেখ তখন তাকে বল, আমার জন্য দোয়া করো।’ আমি বিমানবন্দরে যেয়ে সুন্দরী নারীদের থেকে দোয়া প্রার্থনা করি। সূত্র : দৈনিক পাকিস্তান ও হামারি ওয়েব