শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে

‘রোহিঙ্গা’ বলাও নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Rohingaআন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সংখ্যালঘু ধর্মীয়গোষ্ঠি রোহিঙ্গাদের ‘রোহিঙ্গা’ বলা নিষিদ্ধ করল মিয়ানমার। এর পরিবর্তে তাদের ‘ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী’ বলে অভিহিত করতে নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের প্রশাসন।

এর আগে ‘রোহিঙ্গাদের গুম, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রম, নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক হয়রানি’ সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণ হতে পারে।’

এরপর অং সান সুচি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, মিয়ানমার সরকার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি এড়িয়ে ‘ইসলাম ধর্মাবলম্বী’ শব্দ ব্যবহার করে। তাই জাতিসংঘেরও তাই করা উচিত।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চলমান বিতর্ক পাশ কাটাতে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মিয়ানমার। বিশেষ করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লির মিয়ানমার সফরে সরকারি কর্মকর্তারা যেন রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করেন, সেটা নিশ্চিত করতে চায় দেশটি।
এ বিষয়ে মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ইয়াংহি লির সফরে রোহিঙ্গা বা বাঙালি শব্দগুলো ব্যবহার করা হবে না। এর বদলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী’ বলে অভিহিত করা হবে। ১৬ই জুন ইস্যু করা ওই চিঠিকে ‘গোপনীয়’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে। ওই চিঠিতে রাখাইন আদিবাসীদের ‘রাখাইন প্রদেশের বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী’ বলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশেই বাস করে থাকেন। তাদের নাগরিকত্বের আবেদনের বেশিরভাগই বাতিল করে আসছে মিয়ানমার সরকার।
মানবাধিকার কর্মী ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া অসহায় রোহিঙ্গা সহ সকলে ধারণা করেছিলেন, দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকার রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসবে। কিন্তু এখনো তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। রাখাইন প্রদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আটকে রয়েছেন। তাদের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার অধিকার থেকেও তাদের বড় একটি অংশ বঞ্চিত।
সূত্র :এএফপি

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ