মাকসুদুল আলম, শেরপুর : শেরপুরের ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের অভ্যন্তরে সম্প্রতি বণ্য হাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে আসছে । হাতির ভয়ে আতংকে এলাকাবাসী। বাড়িঘর তছনছ করে ফসলাদি নষ্ট করে করে যাচ্ছে হাতির দলটি । পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে। রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে ফসলের মাঠ আর বাড়িঘর।
এলাকাবাসী জানান, ৩/৪ দিন ধরে বণ্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করছে। অন্য কোন খাবার না থাকায় হাতির দল প্রকাশ্যে বাহির হয়ে জান মালের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, আগুনের মশাল ও পটকা বাজিয়েও তাদের দৌড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন হাতি আর ভয় পায় না। বরং উল্টো ধাওয়া করে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাত ব্যাপি হাতির দল হঠাৎ প্রবেশ করে বাকাকুড়া গুচ্ছ গ্রামে ও তাওয়াকুচায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এ সময় হাতির দল-ওই গ্রামের জমিতে সদ্য রোপনকৃত ফসল পা দিয়ে পিষিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে ধাওয়া খেয়ে তারা গজনির পাশ দিয়ে চলে গিয়ে অন্য গ্রামে আক্রমণ চালায়। ফলে কয়েক একর জমির ফসল বিনষ্ট করে ফেলে। প্রতিদিন রাতে পাহাড়ি এলাকায় আক্রমন করছে হাতির দল। হাতির দলকে ধাওয়া করে দৌড়ানোর চেষ্টা করলেও তারা যায় না। অবশেষে পটকার শব্দে ভোর রাতে তারা গভীর জঙ্গলে পালায়। এ অবস্থায় পাহাড়ি আধিবাসী হাতির আক্রমণের ভয়ে রাত জেগে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ পাহাড়া দিচ্ছেন।
বিনয়চন্দ্র কোচ জানায়, আমার একমাত্র সম্বল ১০ কাঠা জমি অনেক কষ্টে জমিটুকু আমন আবাদ করার জন্যে তৈরী করছি হাতির জন্যে ভয় হচ্ছে। হাতির দল অনেকের সর্বনাশ করে দিয়েছে। মাঠে পাকা ধান নেই। হাতি কেন আসবে? তবে মনে হয় পাহাড়ে হাতির খাবার নেই। তাই তারা খাবারের সন্ধানে তান্ডব চালিয়ে আবাদি জমির ফসল নষ্ট করছে।