ঢাকা : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৯২% মুসলমানের ধর্ম-বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে বর্তমান শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মুসলমানদের ধর্ম-বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি তিনি জোর দাবি জানান।
শুক্রবার বিকেলে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ আজ একটি অবরুদ্ধ জনপদে পরিণত হয়েছে। আমাদের জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার, রাজনীতির অধিকার কোন কোন ক্ষেত্রে ধর্ম পালনের অধিকারও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। দেশে কিছু দিন যাবৎ রহস্যজনক গুপ্ত হত্যা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো গুপ্ত হত্যার রহস্য উদগাটন করতে সরকার সম্পূর্ন ব্যর্থ। এ যাবত কোনো হত্যাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এর রহস্য কি জনগন জানতে চায়।
তিনি বলেন, এক দিকে যারা ধর্মে বিশ্বাস করে না তাদের উপর আক্রমন হচ্ছে, অন্য দিকে যারা ধর্মে বিশ্বাসী যেমন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান ধর্মাবলম্বীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। সরকার এ ক্ষেত্রে হত্যা বন্ধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যাকা- বন্ধের জন্য সাঁড়াশি অভিযানের নামে যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে তা মূলত: বিরোধী দলকে দমন করার জন্যে আরেকটি অভিযান মাত্র।
ফখরুল ইসলাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক মামলায় মিথ্যা চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আজ এটা পরিষ্কার, এ সরকার দেশে কোনো বিরোধী দল বা মত রাখতে চায় না।
ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্যে জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, এ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আগ্রহ বিনষ্ট করে নিজেরাই নিজেদের ভোটে বিজয়ী হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বিগত ৫ জুনের সংসদ নির্বাচনে ১৫৪জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইউপি নির্বাচনেও শত শত আওয়ামী চেয়ারম্যান ও মেম্বার জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। অনেকেই কেবল দলীয় লোকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
জমিয়তের সহ-সভাপতি আল্লামা মোস্তফা আযাদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব মাও. বাহাউদ্দীন যাকারিয়া ও মাও. ফজলুল করীম কাসেমীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ২০দলীয় জোটের শরীক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
/এআর