টাঙ্গাইল : গিনেসবুকে স্থান পেতে চলেছেন টাইঙ্গাইলে নির্মিত ২০১ গম্বুজের মসজিদ। মসজিদটি ভেঙে দেবে অতীতের সব রেকর্ড। ১৫ বিঘা জমির উপর নির্মিত মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে শিগগির।
মসজিদটির উপরে থাকবে ২০১টি সুদৃশ্য গম্বুজ। চারপাশে থাকবে নানারকম কারুকাজ। ভেতরটা হবে আকর্ষণীয় ও মনোরম। পর্যটক বা মুসল্লি আকর্ষণ করে এমন সবকিছুই থাকবে মসজিদটিতে।
মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে দুস্থ নারীদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। মসজিদের কাছেই নির্মাণ করা হবে দূর দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের থাকার জন্য ডাক বাংলো ও বিনামূল্যে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা। মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা।
নির্মাণাধীন এই মসজিদে থাকবে বিশ্বের বেশিসংখ্যক গম্বুজ ও ৪৫১ ফুট উঁচু একটি মিনার। যা গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান করে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যাগে মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে ২০১ গম্বুজ মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর পাশে অবস্থিত ৪৫১ ফুট উঁচু বা ৫৬ তলা উঁচু ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম’ নামের মিনারটি হবে ইটের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার। এই মিনারে ৫০ তলা পর্যন্ত থাকবে লিফটের সুবিধা। বর্তমানে ভারতের দিল্লির কুতুব মিনার বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইটের তৈরি মিনার। যার উচ্চতা ২৪০ ফুট আর বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনারটি মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় দ্বিতীয় হাসান মসজিদে অবস্থিত। এর উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। তবে এটি ইটের তৈরি নয়।
জানা যায়, মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন।
আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
/আরআর