শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

জাসদ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Hasina20131118164732ঢাকা : জাসদ ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিব্রত হয়েছেন।

দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাসদকে জড়িয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার ঢাকায় ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র তৈরির জন্য জাসদকে দায়ী করে এই দল থেকে মন্ত্রী করার জন্য আওয়ামী লীগকে ‘আজীবন প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

আশরাফ বলেন, তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করত, তবে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাংলাদেশ হতো।

এরপর গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের পরিবেশ অন্য রকম ছিল বলে বোর্ডের চারজন সদস্য জানিয়েছেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও তার কাছে কিছুই জানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বৈঠকের আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মুহূর্তে এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়েছে কি-না জানতে চান। এ সময় উপস্থিত নেতাদের অনেকেই তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারে জাসদ নেতা আ স ম আবদুর রব মন্ত্রী ছিলেন। এখন মন্ত্রিসভায় আছেন হাসানুল হক ইনু। তাই বক্তব্য দেওয়ার আগে ভাবতে হবে_ কে, কখন, কোথায়, কী বক্তব্য দিচ্ছেন।

এর জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী ছাত্রলীগের ইতিহাস নিয়ে বর্তমান নেতাদের অনেকের মধ্যে ধারণাগত ভ্রান্তি রয়েছে বলেই তিনি জাসদ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইতিহাসের সত্যটাই বলেছেন। এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম; শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কাজী জাফর উল্লাহ ও রাশিদুল আলম।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা সমকালকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের জানিয়েছেন, ১৯৯৬ সালে ঐক্যের প্রয়োজনে জাসদ নেতা আ স ম আবদুর রব এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এখন জঙ্গি তৎপরতা ও গুপ্তহত্যার প্রেক্ষাপটে আরও ঐক্য জরুরি। এ অবস্থায় ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের নিয়ে মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।

এক পর্যায়ে দলের নেতাদের কাছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এক পর্যায়ে কৌতুক করে বলেন, মাহবুবউল আলম হানিফের পরামর্শেই জাসদ ও হাসানুল হক ইনুকে জড়িয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন কি-না।

এর আগে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ জাসদের সমালোচনা করেছিলেন। তখনও বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার তাগিদ থাকলেও এ জোটের শরিক দল এবং শীর্ষ নেতাকে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ায় কিছুটা হলেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

আওয়ার ইসলাম টোযেন্টিফোর ডটকম /আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ