স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একজন নেতা রানা দাশগুপ্ত দেশটিতে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বলে যে খবর বেরিয়েছে সেটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বা পিটিআই-য়ের বরাত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদপত্রে এ খবর বেরিয়েছে।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য রানা দাশগুপ্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সে প্রতিবেদনে বলা হয়, “আমরা মনে করি, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ভারতের কিছু একটা করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর আমাদের অনেক আশা। বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য তার (নরেন্দ্র মোদি) উচিত বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরা।”
কিন্তু বিবিসি’র সাথে এক সাক্ষাৎকারে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি কোন বক্তব্য দেননি।
তিনি কে বলেন, “আমাদের যে সংবিধান, এই সংবিধানেই বলা আছে, নাগরিকদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এটির দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের বা সরকারের। সেখান অপর কোন রাষ্ট্রের বা রাষ্ট্রীয় নেতার কোন ভূমিকা থাকতে পারে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না।”
এদিকে রানা দাশগুপ্ত তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করার দাবি করলেও পিটিআইয়ে’র দিল্লি ও কলকাতা অফিসের সাথে সংশ্লিস্ট কয়েকজন জানিয়েছেন বিষয়টিতে রানা দাশগুপ্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিবাদ পাঠায়নি।
পিটিআইয়ে’র কলকাতা এবং দিল্লী অফিসের সাথে সংশ্লিস্ট কয়েকজন জানান, রানা দাশগুপ্ত যেভাবে বলেছেন তাকে ঠিক সেভাবেই উদ্ধৃত করা হয়েছে।