শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Bondhuk20160214024456স্টাফ রিপোর্টার : জয়পুরহাট সদর উপজেলায় রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হন। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন মোহাম্মদ সোহেল (৩৫) ও মুনির হোসেন (৩২)। তাঁদের মধ্যে সোহেল ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। আর মুনির হোসেন তাঁর সহযোগী বলে পুলিশ দাবি করেছে।

সোহেল ভাদসা ইউনিয়নের ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। মুনির হোসেন কোঁচকুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তাঁদের মৃতদেহ জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, সোহেল ও মুনিরের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ফরিদ হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমান ও কনস্টেবল মোস্তাফিজ আহত হন। তাঁদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, ভাদসা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার আসামিরা তাঁদের গ্রামের বাড়ি কোঁচকুড়ি গ্রামে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পায় পুলিশ। এর ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলের দিকে যান। গোপালপুর বাজার অতিক্রম করে কোঁচকুড়ি সড়কে ওঠামাত্র আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোড়ে। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়।

খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ৪ জুন স্থানীয় দুর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ি কোচকুঁড়ি গ্রামে ফিরছিলেন এ কে আজাদ। পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করে। ওই সময় নয়ন চন্দ্র নামে এক পথচারীকেও গুলি করে মুখোশধারীরা। গুলিতে আহত চেয়ারম্যান আজাদ গত রোববার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ