জাকারিয়া হারুন : পাকিস্তানের সম্মিলিত ছুন্নী কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের ছেলে হামিদ রেজার আপিলে ছুন্নী ইত্তেহাদ কাউন্সিলের ৪০ জন সম্মানিত মুফতি এক ফতোয়ায় বলেছেন, আত্মসম্মান রক্ষার নামে নিজের মেয়েদের হত্যা সবচেয়ে নিকৃষ্ট কবিরা গুণাহ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোরে জিনাত রফিক (১৮) নামের এক নারী পরিবারের অমতে বিয়ে করায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে তা মা। পুলিশ ওই মাকে হত্যার দিনই গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে এল সম্মিলিত মুফতিদের ফতোয়া।
সম্মিলিত ফতোয়ায় বলা হয়, আত্মসম্মানের নামে হত্যা বৈধ মনে করা কুফুরি। কোনো মেয়ে যদি নিজের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে এ অপরাধে তাকে জ্বালিয়ে দেয়া ইসলামি বিধান বহির্ভূত। আগুনে জ্বালিয়ে শাস্তি দেওয়া মহান আল্লাহ ছাড়া আর কারো অধিকার নাই।
ফতোয়ায় আরো বলা হয়, ইসলামে প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা তাদের নিজেদের ইচ্ছায়, নিজেদের পছন্দে বিয়ে করার অধিকার রাখে। সুরায়ে বাকারার ২৩২ নম্বর আয়াতে এর বিধান বর্ণিত হয়েছে।
ফতোয়ায় বলা হয়, ইসলাম রাষ্ট্রের জন্য নারীদের অধিকার সংরক্ষণকে ফরজ সাব্যস্ত করেছে। এ জন্য প্রশাসন নারীদের হত্যা বন্ধ করার জন্য চূড়ান্ত বিধান জারি করবে। নারীদের হত্যা ও জীবিত জ্বালিয়ে হত্যাকারীরা ক্ষমার অযোগ্য।
পাকিস্তানে এ ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। আত্মসম্মানের নামে সাত বছরে তিন হাজার হত্যা সংগঠিত হয়েছে বলে জানা যায়।
গত বছর এপ্রিলে খাইবার পাখতুমখোয়া প্রদেশের হাজারাহ শহরও এ রকম লোমহর্ষক, পাশবিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ১৬ বছরের আরাকান যুবতিকে এক জনশূন্য প্রান্তরে নিয়ে যায় তার বাবা। মেয়েনেমেয়েকে তাকমেয়েজোরপূর্বক নেশা ও উত্তেজনাকর ঔষধ খাইয়ে বেহুশ করে। তারপর নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
সূত্র : ডনউর্দু
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর