আবিদ আনাম: রোজা ঈদ বা ভিন্নধর্মীদের পূজা উৎসবে বিশ্বের নানা দেশে ব্যবসায়ীরা ছাড় দিয়ে থাকেন। জিনিস পত্রের দাম কমিয়ে ধর্মীয় উৎসবকে সম্মান জানান।বিপরীত শুধু আমাদের দেশের চিত্র। রোজা ঈদ ও পূজায় ব্যবসায়ীরা পাগলা ঘুরার মতো দামি বাড়িয়ে দেন। বাজারের জ্বালিয়ে দেয় বেদনার আগুন। ফলে ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েন। জিম্মি হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীদের হাতে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করতেও ভুলেন না অনেকে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রোজার ইফতার সাহরির সামগ্রীতে বিশেষ ছাড় দিয়ে রোজাকে সম্মান জানান ব্যবসায়ীরা।ইউরোপের জার্মানীতেও রমজানের ব্যবহার্য্য সব পণ্যসামগ্রী এবং পবিত্র বড়দিন উপলক্ষে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোতে বাজারে বিশাল মূল্যহ্রাস মিলে। ভারতেও পূজার সময় মূল্যহ্রাসসহ নানা প্রথা চালু আছে। ধর্মীয় উৎসবে দোকানিরা ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন আর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মনে করে রোজার এক মাস ব্যবসা করবো বাকি সময় বসে খাবো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মালিবাগ মোড় বায়তুল নূর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাম্মাদুল্লাহ রাহমানী বলেন, আসলে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফালোভী মানসিকতা অঅর ক্রেতাদের খাই খাই মনোভাব। রোজা আসলে সংযমের জন্য কিন্তু আমরা রোজার মাসকে ভোজন বিলাসের মাসে রূপ দিয়েছি। আমাদের সংযম কোথায়, আমরা যেমন রোজার মূল্য চেতনা থেকে দূরে সরে এসেছি তাই ব্যবসায়ীরাও ছাড় না দিয়ে পকেট কেটে নিচ্ছে।
শান্তি নগর বাজারে মুদি দোকানদার আবুল কালাম জানিয়েছেন, আমরা পরিবেশ-পরিস্থিতির শিকার।একা ভালো থাকা যায় না । তবে বাজার মনিটরিং আরও ব্যাপক হলে অনিয়ম কমে যাবে।
শামসুল হক নামের একজন ক্রেতা জানান, সরকারের বাজার মনিটরিং আরও ব্যাপক হলে অনিয়ম কমবে।তবে ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফাখোর মানসিকতা না ছাড়লে সরকারও হাল ছেড়ে দিবে। তাই সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / এইচএ