আওয়ার ইসলাম ডেস্ক : জাকাতের টাকায় পাঁচ হাজার পরিবারে সুখের হাওয়া বিরাজ করছে। দেশের ১৫টি জেলার ১৮টি উপজেলায় সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর এই উদ্যোগ সফল হয়েছেঅ সঠিক পদ্ধতিতে জাকাত বন্টন হলে দেশ সাবলম্বী হওয়ার উদারহরণ সৃষ্টি করেছে সিজেডএম।
সংস্থাটি বলছে, প্রতি বছর জাকাতের নামে লুঙ্গি-শাড়ি আর খুচরা টাকা বিতরণ করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা । এর মাধ্যমে মূলত দারিদ্র্যকে জিইয়ে রাখা হয়। গরিব মানুষকে একটা নির্ভরশীলতার দুষ্টচক্রে বন্দি করে রাখা হয়। এমনটা না করে কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে এককালীন যথেষ্ট অর্থ দিয়ে স্বাবলম্বী করে দিলে ধীরে ধীরে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। বর্তমানে সিজেডএম তার সাতটি জাকাতভিত্তিক প্রকল্প পরিচালনা করছে। এর মধ্যে জীবিকা প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন দরিদ্র ব্যক্তিকে পাঁচ বছর মেয়াদে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য জাকাতের অর্থ দেয়া হয়।
একটি গ্রামের ২০-৩০ জন জাকাত গ্রহীতাকে একসঙ্গে বড় অঙ্কের টাকা দেয়া হয়। জাকাত যেহেতু ঋণ নয়। তাই, ওই টাকা তাদের ফেরত দিতে হয় না। দিতে হয় না কোনো সুদ। সম্মিলিতভাবে ওই টাকা বিনিয়োগ করে তারা নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কেউ ট্রাক্টর কিনে কৃষি কাজে ব্যবহার করছেন। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের রয়েছে আলাদা দৃষ্টি। অনেক নারীই কুটিরশিল্প উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ওইসব বিনিয়োগের নিয়মিত তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। খন্দকার যাকারিয়া আহমেদ বলেন, ইসলামে জাকাতের অর্থ খরচের জন্য সুনির্দিষ্ট আটটি খাত রয়েছে। তার মধ্যে একটি খাত হচ্ছে জাকাতের অর্থ সংগ্রহ ও বিতরণের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা। সে হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত জাকাতের অর্থ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২% (আট ভাগের এক ভাগ) আমরা ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যয় করি।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /এইচএ