স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : সুস্থ থাকতে হালাল খাদ্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের যুগ্মসচিব এবং স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মশিউর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে ‘পবিত্র রমজানে নিরাপদ ও হালাল ইফতার নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য সচিব জাহেদুর রহমান।
জাহেদুর রহমান বলেন, ‘আমরা চোখের সামনে যা পাই তাই খাই। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, মানসম্মত খাদ্য গ্রহণ না করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। যা একসময় স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আরো বলেন, একটি শিশু জন্মের পর থেকেই চিকেন খাওয়া শেখে না। সেই শিশুকে জন্মের পর তারা বাবা-মা’ই তাকে চিকেন খাওয়া শেখায়। কিন্তু সেই চিকেন কতোটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার সেটি আমাদের জানতে হবে। কেননা এই ছোট্ট শিশুটির মেধা বিকাশে খাদ্যের বিকল্প নেই। দেখতে চাক্যচিক্য হলেই মানসম্মত খাদ্য হয় না।
মশিউর রহমান বলেন, রমজানে মুসলমানরা রোজা রাখেন। আর সারাদিন রোজা শেষে যদি ভেজাল খাদ্য খান তাহলে শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। রমজানের সময় বিভিন্ন রাস্তার ওপর ইফতারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এই খাদ্য কতোটা স্বাস্থ্যসম্মত সেটা আমাদের জানা উচিত।
তিনি বলেন, মাঝে মাঝে বিএসটিআই ও ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন এলাকায় ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালায়। আর এই অভিযানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। শুধু বিএসটিআই বা সরকার সচেতন হলে হবে না। আমরা যারা সাধারণ জনগণ তাদেরও সচেতন হতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি এ এম মুয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাপার যুগ্ম-সম্পাদক মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ফাউন্ডেশনের মোফাচ্ছের ড. আবু সালেহ পাটোয়ারী প্রমুখ।