ফারুক ফেরদৌস : জাতীয় শিক্ষানীতি, প্রস্তাবিত শিক্ষাআইন ২০১৬ ও নতুন পাঠ্যসূচি সংশোধনের দাবিতে সরব রয়েছে ইসলামি দলগুলো। গত মাসজুড়ে দফায় দফায় সমাবেশ, গোলটেবিল, গণমিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিভিন্ন ইসলামি দল ও সংগঠন। মুখ খুলেছেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।
গত ১৬ মে হেফাজতে ইসলাম দেশব্যাপী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি প্রদান করে। এর আগের দিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের ক্ষতিকর দিক এবং স্কুল পাঠ্যবই থেকে ইসলামি ভাবাপন্ন বিষয়ে প্রবন্ধসমূহ বাদ দিয়ে নাস্তিক্য ও হিন্দুত্ববাদে উদ্বুদ্ধ করে এমন লেখা যুক্ত করে বর্তমান স্কুল-কলেজের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধর্মহীন করে ফেলা হয়েছে। কুরআন-হাদিসের বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চার একমাত্র শিক্ষাকেন্দ্র কওমি মাদরাসাসমূহকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার অসৎ উদ্দেশে সরকার শিক্ষা আইন ২০১৬ নামে একটি বিতর্কিত খসড়া আইন প্রকাশ করে তড়িঘড়ি পাস করার উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসব কর্মকাণ্ড নাগরিক হিসেবে আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। চেতনাধারী শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে ইসলামি শিক্ষা মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া যাবে না। শিক্ষামন্ত্রী এদেশকে রাম রাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। নাস্তিক্যবাদী হিন্দুত্ববাদী কোনো শিক্ষাআইন ও শিক্ষানীতি মুসলমানরা মেনে নেবে না।’
একই দাবিতে গত ১৭ মে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ কওমি মাদারাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক। সম্মেলনে উপস্থিত সারা দেশ থেকে আগত ওলামায়ে কেরাম জাতীয় শিক্ষানীতি ও খসড়া শিক্ষা আইন ইসলামি ভাবধারামুক্ত করে তৈরি করায় সরকারের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, এই শিক্ষা নীতিমালা ও আইন প্রণয়নে এ দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সর্ববৃহৎ জাতীয় শিক্ষা বোর্ড বেফাকের কোনো প্রতিনিধি বা সর্বজন শ্রদ্ধেয় কোনো বিজ্ঞ আলেমকে রাখা হয়নি। শিক্ষানীতির ১ ও ২ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষার ৩০টি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য উল্লেখ করা হলেও শতকরা বিরানব্বই জন মুসলিমের এই দেশে ইসলামি ভাবাদর্শ সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার কোনো উল্লেখ নেই। খসড়া শিক্ষা আইনে এমন কিছু ধারা রাখা হয়েছে যা দ্বারা এ দেশে নতুন নতুন দ্বীনি মাদরাসা-মক্তব কায়েমের পথ প্রসারিত হওয়ার পরিবর্তে সংকুচিত হবে। তাই প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি ও খসড়া শিক্ষা আইন ২০১৬ অবিলম্বে বাতিল করে পরিবর্তিত পাঠ্যপুস্তক পুনর্বিন্যাস করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
বেফাক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মাহফুযুল হক, মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, মুফতি মুহাম্মাদ ওয়াক্কাস, মাওলানা মোস্তফা আজাদ, মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই ইস্যুতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। গত ২৭ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির ডাকে একটি বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত লাখো জনতার উদ্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশকে ১৯৪৭-এর পূর্বাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের স্বাধীন জাতিসত্তা হুমকির মুখে। আমাদের ধর্ম-বিশ্বাস ও স্বকীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষাআইন ২০১৬ সেই ষড়যন্ত্রেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমান সিলেবাস থেকে অনেক মুসলিম কবি-সাহিত্যিকের ইসলামি ভাবধারায় রচিত প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা পাঠ্যবই থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কীয় বিভিন্ন বিষয়াদি। যুক্ত হয়েছে এমন সব প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা যা আমাদের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের মুসলিম সমাজ ও সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে।’
মহাসমাবেশ থেকে ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল না করলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ, সংসদ অভিমুখে গণমিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে গত ১৪ মে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভার আয়োজন করে। উক্ত সভায় উপস্থিত জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তোলে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষাআইন ২০১৬ সে আলোকে প্রণীত হয়নি, বরং পরিকল্পিতভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামি ভাবধারার গল্প, কবিতা ও রচনাবলি বাদ দিয়ে সেখানে হিন্দুত্ববাদী ভাবধারার রচনা-প্রবন্ধ ও কবিতা সংযুক্ত করার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।’
একই দাবিতে গত ১৮ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ইসলাম বিনাশী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক থেকে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করে ইসলামী ঐক্যজোট। সংগঠনের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘যে দেশে ৯২ শতাংশ মুসলমান সেদেশে ইসলামকে ধ্বংস করতে নাস্তিকদের দিয়ে বিতর্কিত শিক্ষানীতি করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদরা আ.লীগের ভেতর ঘাপটি মেরে আছে আ.লীগকে ধ্বংস করার জন্য। এ শিক্ষানীতির মাধ্যমে তিনি ইসলামকে ধ্বংস করবেন। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো ধর্মীয় মূল্যবোধের কথা বলেন। এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে যাতে আঘাত না লাগে এজন্য শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিন।’
বিতর্কিত ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৬ এবং ইসলাম বিরোধী পাঠ্যসূচি বাতিলের দাবিতে গত ৩১ মে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। স্মারকলিপিতে পাঠ্যসূচিতে ইসলামবিরোধী গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও চিন্তা-চেতনা বাতিল এবং সরকারের প্রস্তাবিত শিক্ষাআইন-২০১৬ পাস না করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা এ ধরনের পাঠ্যপুস্তক থেকে শিক্ষা লাভ করে কোনো দিন ইসলাম ও মুসলমানি ভাবধারার সাথে পরিচিত হতে পারবে না। তারা এ সিলেবাসে শিক্ষিত হয়ে হয় নাস্তিক্যবাদী নয়ত হিন্দুত্ববাদী চেতনা, বিশ্বাস ও সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠতে বাধ্য। কারণ, বিতর্কিত ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি-২০১০ অনুসারে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ক্রমান্বয়ে ইসলাম ভাবাপন্ন পাঠসমূহ বাতিল করে তদস্থলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদমূলক বিষয় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’
শিক্ষানীতি বাতিলের এই আন্দোলন বেগবান করতে সম্প্রতি ৮টি ইসলামি ছাত্র সংগঠন ‘সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য’ নামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জোটবদ্ধ ছাত্র সংগঠনগুলো হচ্ছে, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন।
গত ২৪ মে বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এ সংগঠনটি। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মুহা. নাছির উদ্দিন খান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল এবং সেকুলার পাঠ্যসূচি সংশোধনের দাবিতে সমমনা ইসলামি ছাত্র সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনকে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে এটি বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ঐ সাংবাদিক সম্মেলনে। ছাত্র ঐক্যের নেতারা বলেন, ‘ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল ও বিতর্কিত সেক্যুলার পাঠ্যসূচি সংশোধন করে মুসলিম শিক্ষর্থীদের জন্য শিক্ষর সর্বক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।’
পাঠ্যসূচি ২০১৬ থেকে বাদ দেয়া বিষয়সমূহ
১.দ্বিতীয় শ্রেণি : ‘সবাই মিলে করি কাজ’- শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ২.তৃতীয় শ্রেণি : ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত। ৩. চতুর্থ শ্রেণি : খলিফা হযরত ওমরের সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত। ৪. পঞ্চম শ্রেণি : বিদায় হজ্জ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত, ৫. পঞ্চম শ্রেণি : কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত শিক্ষা গুরুর মর্যাদা নামক একটি কবিতা। যাতে বাদশাহ আলমগীর-এর মহত্ত্বের চিত্র উঠে এসেছে এবং শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের ভক্তি ও আদব কেমন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করা হয়েছিল। ৬. পঞ্চম শ্রেণি : শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত। এ প্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশ বিরোধী যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো। ৭. ষষ্ঠ শ্রেণি : ড. মুহম্মদ শহীদ্ল্লুাহ লিখিত ‘সততার পুরস্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষণীয় ঘটনা। ৮. ষষ্ঠ শ্রেণি : মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’। ৯. ষষ্ঠ শ্রেণি: মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি। ১০) সপ্তম শ্রেণি: মরু ভাস্কর নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ১১. অষ্টম শ্রেণি: ‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি। ১২. নবম-দশম শ্রেণি: মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ধর্মভিত্তিক কবিতাটি। ১৩) নবম-দশম শ্রেণি : মুসলিম কবি ‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি। ১৪. নবম-দশম শ্রেণি : মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবাণী কবিতাটি। ১৫. নবম-দশম শ্রেণি : গোলাম মোস্তফার লেখা জীবন বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা। ১৬. নবম-দশম শ্রেণি : কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’ কবিতা।
নতুন সংযোজিত বিষয়সমূহ
১. পঞ্চম শ্রেণি : স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা। ২. ষষ্ঠ শ্রেণি : ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দূর্গার প্রশংসা। ৩. ষষ্ঠ শ্রেণি : ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হলো মায়ের মত অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ। ৪. ষষ্ঠ শ্রেণি: অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচি’র ভ্রমণ কাহিনী। ৫. সপ্তম শ্রেণি: ‘লালু’ নামক গল্পে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে পাঁঠাবলির নিয়ম কানুন। ৬. অষ্টম শ্রেণি : পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ণ’ এর সংক্ষিপ্তরূপ। ৭. নবম-দশম শ্রেণি: ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত‘মঙ্গলকাব্যের অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা। ৮. নবম-দশম শ্রেণি : অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালামৌ’ এর ভ্রমণ কাহিনী। ৯. নবম-দশম শ্রেণি : ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচার। ১০. নবম-দশম শ্রেণি : ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭-এর দেশভাগকে হেয় করা হচ্ছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ১১. প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে দেওয়া হয়েছে (নিজেকে জানুন) নামক যৌন শিক্ষার বই। ১২. নবম-দশম শ্রেণি : ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তন।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / আরআর