বঙ্গাব্দ ১৪২৩ বর্ষবরণ উৎসব নিরাপদে উদযাপনের জন্য পুলিশ ও র্যাব পৃথকভাবে বাড়তি নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভুভুজেলা বাঁশির ব্যবহার। সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। এমনকি এবারই প্রথম বারের মতো মঙ্গলশোভা যাত্রা ছাড়া মুখোশ না পরার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
মূলত সন্ত্রাসী হামলা রোধে ও গত বছরের নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত নিরাপত্তা গ্রহণের কারণে মহানগরবাসীর মধ্যে আতঙ্কবোধ সৃষ্টি হয়নি, বরং বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক এ বর্ষবরণ উৎসব আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে বদ্ধপরিকর বলে আশাবাদ ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।
এবার রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর ছাড়াও আরো ৭০টি স্থানে বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান হবে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এবার আরো বাড়তি পরিসরে বাংলা বর্ষবরণের উৎসব হওয়ার কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হেলিকপ্টারে করেও এবার আকাশপথে নজরদারি করা হবে।
তবে কারো কারো মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা ও নগরবাসীর প্রতি কিছু দিকনির্দেশনার কারণে। এ বিষয়ে শ্যামলীতে কথা হয়, আজমাইন মাহতাব নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সাথে। তিনি সাংবাদিকদের কাছ জানতে চান, ভাই, এবার কি ছায়ানটের অনুষ্ঠানে হামলার সম্ভাবনা আছে?