ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন আয়োজকরা। ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলন চলায় সরকারের পক্ষ থেকে করা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে এই মার্চ মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে হবে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আয়োজকদের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দেশের শীর্ষ আলেম, দাঈ, স্কলার, ওয়ায়েজ এবং বিভিন্ন অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা অংশ নেবেন।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় বলা হয়েছে- অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দিকে এগোচ্ছে 'মার্চ ফর গাজা'। যেমন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে।
বাংলাদেশ ও তার জনগণ যত শক্তিশালী হবে, আমাদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর বিশ্বের দরবারে ততই শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আর তাই বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ সম্মেলনে আগত অতিথিদের চলাচলের পথ সুগম করতে আমরা 'মার্চ ফর গাজা'র জনসমাগমের অভিমুখ 'মানিক মিয়া এভিনিউ' এর পরিবর্তে 'সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে' পরিবর্তন করছি, যেন পদযাত্রা শেষে রাজপথগুলোর পরিবর্তে উদ্যানের বিস্তৃত পরিসরে আগত বিক্ষোভকারীরা স্থান করে নিতে পারেন!
একই দিনে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদেরকেও আমরা সকালে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরীক্ষার হলে পৌঁছানোর অনুরোধ রাখছি।
এছাড়া কর্মসূচি সংক্রান্ত অন্যান্য বিস্তারিত দিক নির্দেশনা পরবর্তীতে পেইজ, গ্রুপ এবং ইভেন্ট পেইজে দিয়ে দেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এদেশের মানুষ। গত সোমবার দেশব্যাপী নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়েছে। এবার সম্মিলিতভাবে দল-মত নির্বিশেষে, সব মত-পথ ও ঘরানার মানুষ ‘মার্চ ফর গাজা’র আয়োজন করেছেন। ইতোমধ্যে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আলেম স্কলার ও সেলিব্রেটিরা স্বতন্ত্রভাবে ভিডিও বার্তা দিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ এই কর্মসূচির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং নিজেরা তাতে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।
এই কর্মসূচিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেকও থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া একাত্মতা ঘোষণা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
ইতোমধ্যে এই আয়োজন সফল করতে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিশিষ্ট দাঈ শায়েখ আহমাদুল্লাহ, খ্যাতিমান স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ, সেলেব্রেটিদের মধ্যে আরজে কিবরিয়া, আইমান সাদিক, তামিম মৃধা, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা প্রমুখ।
আরও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বিশিষ্ট স্কলার মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা, ড. মুখতার আহমদ, ইসলামি আলোচক মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমদ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলামের আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণপরিষদ আন্দোলনের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুর রহমান শিবলী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক, ইসলামিক স্কলার ড. হারুন আজিজী নদভী, শায়খ ওসমান গনি সালেহী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী রেজাউল কারীম আবরার, শায়খ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের উসামা খোন্দকার, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কাজী রিয়াজ রহমান, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদিক কায়িম প্রমুখ।
এমএইচ/