২০২৪ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। এই যানে দুই হাজার ৭৬১টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে দুই হাজার ৬০৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৫৩৫ জন পথচারী নিহত হয়েছে। বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছে ৯৮৪ জন।
গতকাল বুধবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালে দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৭৬১টি। এতে নিহত হয়েছে ২ হাজার ৬০৯ জন এবং আহত ১ হাজার ৮৩২ জন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৯৬৩ জন ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ৬৩৭টি, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৫৪টি, মোটরসাইকেলে ভারী যানবাহনের চাপা ও ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ২২টি এবং অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৮টি।
এর মধ্যে ২৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৩৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে, ১৭ দশমিক ৪২ শতাংশ ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে এবং ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে শহরের সড়কে।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে মোট মোটরযানের ৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল চালকদের বিরাট অংশ কিশোর ও যুবক। এদের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা এবং না মানার প্রবণতা প্রবল। এরা বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজেরা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং অন্যদেরকে আক্রান্ত করছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার একটি ব্যাপক অংশ ঘটছে বাস এবং পণ্যবাহী ভারী যানবাহনের ধাক্কা/চাপায়। এসব দ্রুত গতির যানবাহন চালকদের অধিকাংশই অসুস্থ ও অদক্ষ। এদের বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানোর কারণে দক্ষ মোটরসাইকেল চালকরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
কেএল/