মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ২ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার বড় সুখবর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউ‌ন্ডেশনে প্রধান উপ‌দেষ্টার ১০০ কোটি টাকা অনুদান আন্দোলনে হতাহতদের ভাতা দিবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব: আসিফ মাহমুদ ‘ইসলামী আন্দোলন’ নিছক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য আন্দোলন করে না: চরমোনাই পীর দাঁত সুস্থ রাখার ১০টি সহজ ও কার্যকরী উপায় বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই: ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেউ যদি এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেন শাস্তি মাথা পেতে নেবো: সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু বিএনপির সমাবেশ

বিটিআরসির কাছে সিটিসেলের লাইসেন্স পুনরুদ্ধারের চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল তাদের বাতিল হওয়া লাইসেন্স পুনর্বহালের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি তুলে ধরে লেখেন,  একমাত্র  রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। অতপর: ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিটিসেলের কার্যক্রম।

চিঠিতে সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছে সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম। এতে বলা হয়েছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিটিসেল যুক্ত ছিল, এমন 'অযৌক্তিক ধারণা' থেকেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল।
যদিও তখন বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। 

চিঠিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গত আট বছরে সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল) বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষপাতদুষ্ট, অপ্রীতিকর ও অসৎ উদ্দেশ্যে নেওয়া এ সিদ্ধান্ত ওমূল্যায়নের শিকার হয়েছে।

চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম আরো জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় ব্যাহত হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ সরকারও প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। 

এখন তারা লাইসেন্স বাতিলে জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ৫জি নেটাওয়ার্কও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর। 

প্রসঙ্গত, সময়মতো বকেয়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি প্রযুক্তি দল ঢাকার মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে কোম্পানিটির নেটওয়ার্ক সুইচ বন্ধ করে দেয়। 

এমএন/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ