বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো অবস্থানকে সহ্য করব না: মুফতী আদনান    নওগাঁয় ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সংহতি গড়ে বাংলাদেশকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়েছি’ এখন একটা মারলে ৪০ টা দাঁড়িয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা ভারত নিয়ে জাতীয় ঘোষণা আসছে : জামায়াত আমির ভারতের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ ভারতে সহকারী হাই কমিশনে হামলার প্রতিবাদে নবাবগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ  সন্তান লাভের আশায় বটগাছের নিচে আঁচল পেতে নারীরা আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল ভারতের অপকর্ম, অপপ্রচার বন্ধে পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ

দুঃস্বপ্ন দেখার পর করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সতর্কতামূলক অনেক বিষয় স্বপ্নের মাধ্যমে অবহিত করে থাকেন। এ স্বপ্নের মাঝে থাকে ভালো ও মন্দের অনেক ইঙ্গিত। ঘুমের মধ্যে মন্দ বা বিপদাপদের স্বপ্ন দেখে মানুষ অনেক সময় অস্থির হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে।

স্বপ্ন দেখা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমের ঘোরে প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে। মানুষের ভাবনা ও মননে যেমন বৈচিত্র্য রয়েছে, তেমনি মানুষের দেখা স্বপ্নেও রয়েছে ভিন্নতা। মানুষ ভালো স্বপ্ন দেখে যেমন সুখানুভব করে, তেমনি ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে নিদারুণ বিমর্ষও হয়।

জীবনের প্রতিটি বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা রয়েছে। সে সুবাদে স্বপ্ন সম্পর্কেও রয়েছে ইসলামের বক্তব্য। রয়েছে চমৎকার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। এ বক্তব্য ও ব্যাখ্যা কোনও দার্শনিক কিংবা বিজ্ঞানীর বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি নয়। আবার কখনো মিলে গেলে কোনো অসুবিধা নেই।

স্বপ্ন কখনো সত্য হয়, কখনো মিথ্যা হয়। হাদিসে মহানবী সা. বলেছেন, ‘সত্য স্বপ্ন নবুয়তের ৪৬ ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭২)

স্বপ্ন দেখলে অনেকে কাছের-দূরের মানুষকে বলে বেড়ায়। এটা মানুষের সহজাত স্বভাব। তবে অনেকে অন্যকে খুশি করতে রং মাখিয়ে স্বপ্নের বর্ণনা দেয়। অথচ রাসূল সা. হাদিসে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, কোনো ব্যক্তি নিজেকে তার পিতা ছাড়া অন্য কারও সন্তান বলে দাবি করা। যে স্বপ্ন সে দেখেনি তা বর্ণনা করা। আর আল্লাহর রাসূল সা. যা বলেননি, তা তার সম্পর্কে বলে বেড়ানো।’(বুখারি, হাদিস : ৩৫০৯)

হজরত আমর ইবনে শোয়াইব রা. তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন যেন সে বলে-

উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাজ্বাবিহি ওয়া ইক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াত্বিনি ওয়া আঁই ইয়াহদুরুন। (আবু দাউদ, তিরিমজি, মিশকাত)

অর্থ : আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্য সমূহের মাধ্যমে তার ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তার বান্দাদের অপকারিতা হতে, শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে এবং তাদের উপস্থিতি হতে।

দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করণীয়

এক. স্বপ্নের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

এ ক্ষেত্রে হাদিসে একটি দোয়া বর্ণিত হয়েছ। দোয়াটি হলো– ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রু’ইয়া।’

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এই ভয়ংকর স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

দুই. শরীরের বাঁ দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

তিন. যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

পাঁচ. নামাজ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে ঘুমে মধ্যে ভয় পেলে বা খারাপ স্বপ্ন দেখলে দোয়া আমলের মাধ্যমে সাহায্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ