শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসানের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোকপ্রকাশ

মিটিং-সমাবেশ চলাকালে আজান হলে করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পৃথিবীর সবচেয়ে সুমধুর ধ্বনির নাম আজান—এটি মুসলিম-অমুসলিম-নির্বিশেষে কোটি মানুষের উপলব্ধি। ইসলামে আজানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ইসলামে আজানের জবাব দেওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মৌখিকভাবে আজানের জবাব দেওয়া সুন্নত। রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তদুত্তরে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (বুখারি: ৬১১)

তবে মনে রাখতে হবে, আজানের প্রায়োগিক জবাবই বাস্তবসম্মত জবাব। এটি জরুরি। প্রায়োগিক জবাব কী? এটি হলো নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া। এটি সব মুসলমানের জন্য জরুরি। কেননা নামাজ যেমন ফরজ, নামাজের প্রস্তুতি নেওয়াও ফরজ।

আর দ্বিতীয় প্রকার তথা মৌখিক জবাব দেওয়া যদিও ফরজ-ওয়াজিব নয়, তবে তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তাই আজানের সময় সাধারণ দ্বীন ও দুনিয়াবি কথা ও কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত।

ওয়াজ বা কোনো দ্বীনি মাহফিল চলাকালীনও তা সাময়িক বন্ধ রেখে সবারই আজানের জবাব দেওয়া উত্তম। এমনকি কোরআন তেলাওয়াতকারী সাময়িক তেলাওয়াত বন্ধ রেখে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম।

তবে একান্ত প্রয়োজনে দ্বীনি ও দুনিয়াবি যেকোনো কাজ চালু রাখতে পারে, যেমন কেউ যদি জরুরি মিটিং ইত্যাদিতে থাকে, এর জন্য পরবর্তী সময়ে উপযুক্ত সময়-সুযোগ পাওয়া যাবে না, তখন আজানের মৌখিক উত্তর না দিয়ে জরুরি মিটিং চালিয়ে যেতে পারবে। কেননা এতে কোনো ফরজ-ওয়াজিব তরক করা হয় না। (ফাতহুল কাদির: ১/২৪৮, রদ্দুল মুহতার: ১/৩৯৯, আদ্দুররুল মুখতার: ১/৩৯৭, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৫/৪২৭)

কথিত আছে, আজানের মৌখিক উত্তর না দিলে বেঈমান হয়ে যায় কিংবা বেঈমান অবস্থায় মারা যাওয়ার ভয় আছে—এরূপ কোনো বর্ণনা হাদিসের কিতাবগুলোতে নেই, অতএব তা একেবারেই ভুল। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া: ৫/৪৩০)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ