শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’

নামাজে ইমামের ভুল হলে মুক্তাদির করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানুষ মাত্রই মাঝে মাঝে ভুল করে। মসজিদের ইমাম সাহেবরাও নামাজ পড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে ভুল করে ফেলেন। যেমন চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে যাওয়া, চার রাকত শেষ হওয়ার পরও পঞ্চম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ইমাম যদি নামাজ পড়াতে গিয়ে কোনো ভুল করে ফেলেন এবং মুক্তাদি অর্থাৎ যিনি তার ইমামতিতে নামাজ পড়ছেন নিশ্চিত হন যে ইমাম ভুল করছেন, তাহলে তিনি তার ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন। হাদিসে জোরে ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলে ইমামের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত রয়েছে, একদিন আল্লাহর রাসুল সা. আমর ইবনে আওফ গোত্রের একটি বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সেখানে যান। রাসুলের সা. অনুপস্থিতিতে আসরের নামাজের সময় হয়ে গেলে, মুয়াজ্জিন আবু বকরকে রা. নামাজ পড়াতে অনুরোধ করলেন। আবু বকর রা. নামাজ পড়ানো শুরু করার পর নবিজি উপস্থিত হয়ে নামাজে শরিক হলে সাহাবিরা হাতের ওপর হাত মেরে আওয়াজ করে তাকে সতর্ক করার চেষ্টা করলেন যেন তিনি নবিজিকে ইমামের দায়িত্ব দিয়ে পিছিয়ে আসেন। নামাজ শেষে নবিজি সা. বললেন,

مَا لِي رَأَيْتُكُمْ أَكْثَرْتُمْ التَّصْفِيقَ مَنْ رَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيُسَبِّحْ فَإِنَّهُ إِذَا سَبَّحَ الْتُفِتَ إِلَيْهِ وَإِنَّمَا التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ

আমি তোমাদের হাতে আওয়াজ করতে দেখলাম। কারণ কী? নামাজে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। সুবহানাল্লাহ বললে তার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হবে। হাতে আওয়াজ করা তো নারীদের জন্য। (সহিহ বুখারি: ১২০১)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায় নামাজে কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুরুষদের উচিত ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলে ইমামকে সতর্ক করা। হাত দিয়ে আওয়াজ করে ইমামকে সতর্ক করা পুরুষদের জন্য সমীচীন নয়। তবে নারীরা যদি জামাতে উপস্থিত থাকেন এবং ইমামের কোনো ভুল ধরিয়ে দিতে চান, তাহলে তারা ‘সুবহানাল্লাহ’ না বলে বাম হাতের পিঠে ডান হাত মেরে আওয়াজ করে ইমামকে সতর্ক করতে পারেন।

আমাদের দেশে ইমামের ভুল হলে তাকবির দিয়ে অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ইমামকে সতর্ক করা বা ভুল ধরিয়ে দেওয়া বেশি প্রচলিত। ‘আল্লাহু আকবার’ বললেও নামাজের সমস্যা হবে না। তবে সুন্নাত হলো ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলা। নবিজি ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাহাবিরা তাই করতেন। অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসুল সা. একদিন চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে যান। তখন সাহাবায়ে কেরাম ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে ভুল ধরিয়ে দেন। (সুনান নাসাঈ: ১১৭৮)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ