বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ।। ১৪ কার্তিক ১৪৩১ ।। ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভোলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ ৬০ শিক্ষার্থী, হাসপাতালে ভর্তি ৫ বানিয়াচংয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ সাঘাটার খাদ্য কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, ৫২ লাখ টাকা জরিমানা বার্মিংহামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত বিচারপতি জুবায়ের রহমানকে প্রধান করে ইসি পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি নোয়াখালীতে ৩ লক্ষ টাকার বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার শিবচরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুজন গুরুতর জখম, ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ নওগাঁ রাণীনগরে যুবদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প যশোরে মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস রহ. ফাউন্ডেশনের ক্রয়মূল্যে কাঁচাবাজার খাগড়াছড়ি কাটিংটিলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কারী সাইদুর রহমান আর নেই

নামাজে ইমামের ভুল হলে মুক্তাদির করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানুষ মাত্রই মাঝে মাঝে ভুল করে। মসজিদের ইমাম সাহেবরাও নামাজ পড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে ভুল করে ফেলেন। যেমন চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে যাওয়া, চার রাকত শেষ হওয়ার পরও পঞ্চম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ইমাম যদি নামাজ পড়াতে গিয়ে কোনো ভুল করে ফেলেন এবং মুক্তাদি অর্থাৎ যিনি তার ইমামতিতে নামাজ পড়ছেন নিশ্চিত হন যে ইমাম ভুল করছেন, তাহলে তিনি তার ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন। হাদিসে জোরে ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলে ইমামের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত রয়েছে, একদিন আল্লাহর রাসুল সা. আমর ইবনে আওফ গোত্রের একটি বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সেখানে যান। রাসুলের সা. অনুপস্থিতিতে আসরের নামাজের সময় হয়ে গেলে, মুয়াজ্জিন আবু বকরকে রা. নামাজ পড়াতে অনুরোধ করলেন। আবু বকর রা. নামাজ পড়ানো শুরু করার পর নবিজি উপস্থিত হয়ে নামাজে শরিক হলে সাহাবিরা হাতের ওপর হাত মেরে আওয়াজ করে তাকে সতর্ক করার চেষ্টা করলেন যেন তিনি নবিজিকে ইমামের দায়িত্ব দিয়ে পিছিয়ে আসেন। নামাজ শেষে নবিজি সা. বললেন,

مَا لِي رَأَيْتُكُمْ أَكْثَرْتُمْ التَّصْفِيقَ مَنْ رَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيُسَبِّحْ فَإِنَّهُ إِذَا سَبَّحَ الْتُفِتَ إِلَيْهِ وَإِنَّمَا التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ

আমি তোমাদের হাতে আওয়াজ করতে দেখলাম। কারণ কী? নামাজে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। সুবহানাল্লাহ বললে তার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হবে। হাতে আওয়াজ করা তো নারীদের জন্য। (সহিহ বুখারি: ১২০১)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায় নামাজে কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুরুষদের উচিত ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলে ইমামকে সতর্ক করা। হাত দিয়ে আওয়াজ করে ইমামকে সতর্ক করা পুরুষদের জন্য সমীচীন নয়। তবে নারীরা যদি জামাতে উপস্থিত থাকেন এবং ইমামের কোনো ভুল ধরিয়ে দিতে চান, তাহলে তারা ‘সুবহানাল্লাহ’ না বলে বাম হাতের পিঠে ডান হাত মেরে আওয়াজ করে ইমামকে সতর্ক করতে পারেন।

আমাদের দেশে ইমামের ভুল হলে তাকবির দিয়ে অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ইমামকে সতর্ক করা বা ভুল ধরিয়ে দেওয়া বেশি প্রচলিত। ‘আল্লাহু আকবার’ বললেও নামাজের সমস্যা হবে না। তবে সুন্নাত হলো ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলা। নবিজি ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাহাবিরা তাই করতেন। অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসুল সা. একদিন চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে যান। তখন সাহাবায়ে কেরাম ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে ভুল ধরিয়ে দেন। (সুনান নাসাঈ: ১১৭৮)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ