লোহিত সাগরে ফের বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯ অক্টোবরের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে এটি ছিল হুথিদের ২২তম হামলার চেষ্টা।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় জানিয়েছে, হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মূলত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের ঢেউ গিয়ে পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। কারণ বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানাতেই সেখানে হামলা শুরুর ঘোষণা দেয় হুথি। তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।
ইসরায়েলগামী যেকোনো জাহাজে হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯ নভেম্বর ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর ১২ ডিসেম্বর ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে একটি নরওয়েজিয়ান ট্যাঙ্কারে হামলা চালানো হয়।
যদিও এর মালিকরা জানিয়েছেন জাহাজটি ইসরায়েলগামী ছিল না। লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে ফ্রান্সের যুদ্ধজাহাজকেও। এরপর একে একে বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালানো হয়। এতে লোহিত সাগর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। তবে এই সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অঞ্চলটিতে উত্তেজনা কোনোভাবেই থামছে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেও লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের বেশ কিছু জায়গায় রকেট ও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া যায়। যদিও এসব রকেট ও ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরায়েলে লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রকেট ও ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
সূত্র: আল-জাজিরা, দ্য ইকোনমি
এনএ/