|| হাসান আল মাহমুদ ||
রাজধানীর ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম দেশের বিশিষ্ট আলেম মুফতী জাফর আহমাদ বলেছেন, ‘শরয়ী তওবা না করা পর্যন্ত ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে, দাওয়াত ও তাবলিগের সঙ্গে মাওলানা সাদের কোনো ধরণের সম্পর্ক নাই। আমাদেরও তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই’।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দানে চলা ‘দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে ক্বওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় মহাসম্মেলন চলবে দুপুর একটা পর্যন্ত।
ঢালকানগর পীর সাহেব বলেন, ‘কেউ কেউ বলে যে, তিনি নাকি দেওবন্দে তওবনামা পাঠিয়েছেন। মনে রাখঝবেন তাওবার জনর্য তিনটি শর্ত। এক- নিজের করা কৃতকার্যের জন্য লজ্জিত হওয়া। দুই- যে কাজ করেছে তা সঙ্গে সঙ্গেই ছেড়ে দিবে। তিন- এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এই বাজে কাজ আমি আর জীবনে কোনো দিন করব না। ’
‘আমাদের মুরব্বিদের তাহকিক, তিনি তওবা করেছেন, কিন্তু যা আগে ছিল আবার পরের মজলিসেও তাই তাই করে বসেন। ধরণের তাওবা শরীয়তে গ্রহণ যোগ্য না। অতএব, শরয়ী তাওবা না করা পর্যন্ত ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে, দাওয়াত ও তাবলিগের সঙ্গে মাওলানা সাদের কোনো ধরণের সম্পর্ক নাই। আমাদেরও তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই।’-বলেন তিনি।
মুফতী জাফর আহমাদ বলেন, ‘ওলামায়ে কেরাম যা ফয়সালা দিবেন আমি তাদের সঙ্গে এখানে একমত হতে এখানে এসেছি। মাওলানা সাদের সঙ্গে আমাদের কোনো দুশমনি নাই। তার সঙ্গে আমাদের দুশমনির একটা কারণ, তা হলো তিনি শরীয়ত কুরআন ও হাদিসের অনুযায়ি আহলে হক ওলামায়ে কেরামদের সাথে নেই। আমাদের আকাবিরীনদের সাথে নাই। ভিন্নমত অবলম্বন করে চলছেন তিনি । মান শায্যা শুয্যা। ভিন্ন মত অবলম্বন করলে যার যা হয়, তা তার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অতএব, তার ব্যাপারে সকল ওলামায়ে কেরাম একমত যত দিন না পর্যন্ত তিনি শরয়ী তওবা না করবেন, ততো দিন কোনো আপস করতে আমরা রাজি নই’।
মহাসম্মেলনে বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে রয়েছেন- আল্লামা শাহ্ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা মুফতি মহাম্মদ ফয়জুল্লাহ (মুহতামিম, মাদানীনগর মাদরাসা), মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতি নুরুল আমীন (পীর সাহেব খুলনা), জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, মুফতী জসীমুদ্দিন (হাটহাজারী মাদরাসা)।
আরো রয়েছেন মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী (বৃহত্তের ময়নসিংহের ইত্তেফাকুল ওলামার সভাপতি), মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ (মুহতামিম, সাভার ব্যাংক কলোনী মাদরাসা), ক্বারী আহমাদ বিন ইউসুফ, লন্ডন দারুস সুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মুফতি গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল ফরিদী ও মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী, উজানী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহবুবে এলাহী (পীর সাহেব উজানী), সাভার যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, মুফতী সাখাওয়াত হুসাইন রাজী (লালবাগ মাদরাসা), মাওলানা মুহাম্মদ (আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জীর ছেলে মুহতামিম, মাখযানুল উলুম মাদরাসা ময়মনসিংহ), মাওলানা লোকমান মাজহারী, সিলেট রেঙ্গা মাদরাসার শাইখুল হাদিস মুফতি মকবুল হুসাইন, মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, মুফতী মুহিউদ্দিন মাসুম প্রমুখ।
হাআমা/