গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড ইসরাইলকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছে, তারা আলোচনা ছাড়া কোনো বন্দীকে মু্ক্ত করতে পারবে না।
কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা রেকর্ড করা এক বার্তায় বলেন, আমরা নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট এবং যুদ্ধ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যকে বলেছি, তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো বন্দীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে না। সর্বশেষ এক বন্দীকে মুক্ত করতে গিয়ে তাকে হত্যার ঘটনায় তা আবারো প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় এক ইসরাইলিকে মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর চেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। আবু ওবায়দা বলেন, আল কাসসাম তাদেরকে চেষ্টাকে ভণ্ডুল করে দিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনীর বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ওই ঘটনায় ওই বন্দীও নিহত হয়েছে।
আবু ওবায়দা আরো বলেন, গত ১০ দিনে বেইত হানুন থেকে খান ইউনিস পর্যন্ত এলাকায় যোদ্ধারা ১৮০টির বেশি সামরিক যান এপিসি, ট্যাঙ্ক ও বুলডোজার আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। আমাদের যোদ্ধারা শূন্য দূরত্ব থেকে পদাতিক সৈন্যদের আক্রমণ করাসহ বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছে। তারা অসংখ্য স্নাইপার হামলা পরিচালনা করেছে, অ্যান্টি-পারসোনাল অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, এর ফলে শত্রুদের মধ্যে বিপুল সংখ্যকের মৃত্যু হয়েছে বা তারা আহত হয়েছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ২৪০ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে গেছে। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এদের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মির সংখ্যা ছিল ৮০ জন। বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, রবিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সুত্র: আলজাজিরা
এনএ/