গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরাইল সরকার। এরই মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধ পরিকল্পনাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তিন ধাপ যুদ্ধের উদ্দেশ্য গাজায় একটি ‘নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করা।
শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।
ইয়োভ গ্যালান্ত জানান, গাজায় হামাসের সরকারব্যবস্থা, সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে তিন ধাপে যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে দিয়ে হামাসকে নির্মূল করা হবে। যুদ্ধের যে বর্তমান ও প্রথম ধাপ চলছে, সেখানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও তাদের অবকাঠামোকে ধ্বংস করা হবে।
তিনি জানান, পরবর্তী ধাপগুলো কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসে শেষ হয়ে যাবে এমনটি ভাবা যাবে না। তবে এই তিন ধাপ যুদ্ধের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো— ‘এই অঞ্চলে (গাজায়) একটি নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা গঠন করে গাজার ওপর ইসরাইলের দায়বদ্ধতা অপসারণ করা।’
গ্যালান্ত বলেন, ‘গাজায় সামরিক অভিযান ইসরাইলের নাগরিকদের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা প্রতিস্থাপন করবে।’
এদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলা আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। আসন্ন স্থল অভিযানের লক্ষ্যে আরও সুযোগ তৈরি করতে ইসরাইলি বাহিনী এ হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোববার (২২ অক্টোবর) থেকেই এ হামলা শুরু হবে।
এ বিষয়ে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি শিগগিরই হামলা শুরু হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা (ফিলিস্তিনিরা) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যান। আমরা গাজা শহরে আক্রমণ চালাতেই থাকব এবং এই আক্রমণ ক্রমেই বাড়বে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার পর পালটা হামলা চালায় ইসরাইল। তাদের হামলায় গাজার হাজার হাজার সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখ নাগরিক।
হামাসের সেই হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১৪০০ এর বেশি নাগরিক নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ৪ হাজার মানুষ। প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীও গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে। ইসরাইলি হামলায় গাজা ও পশ্চিমতীরে প্রাণহানি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুত্র: টাইমস অব ইসরাইল
এনএ/