সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ৩০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আশুলিয়ায় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার আশুলিয়ায় ফয়সাল কবির (৩২) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউনিক এলাকার কাজী বাড়ির সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়সাল কবির ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার ধর্মদি দক্ষিণপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচট এলাকায় হেলাল খন্দকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার কাজী বাড়ির সামনে ৮-৯ জন সন্ত্রাসী ফয়সালকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হ্যাপি জেনারেল হাসপাতালে নিলে তার অবস্থার অবনতি হয়। এসময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ইব্রাহিম নামে এক আড়তদার ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাইপাইল এলাকায় ৬ শতাংশ জমি আছে। একদল সন্ত্রাসী সেই জায়গা দখল করার পাঁয়তারা করছে। দখল করতে না পেরে তারা আমার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই জমি দেখাশোনার জন্য একজনকে দায়িত্ব দেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে ফয়সাল আমার কাছে এসেছিল। পরে ফয়সালও আমার জমিতে যাতায়াত করত। শনিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। সেখানে আমাকে না পেয়ে ফিরে আসার সময় তারা ফয়সালের দেখা পায়। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে আমি এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। যারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে, তারাই ফয়সালকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, যে সন্ত্রাসী গ্রুপটা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা গত কয়েক দিন আগে যানজট নিরসনে নিয়োজিত ছাত্রদের মারধর করেছিল। পরে তাদের দলনেতাকে থানার লকআপে আটকে রাখা হলে ছাত্রদের সঙ্গে বিষয়টা মীমাংসা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ইব্রাহিম জানান, ফয়সাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মাজহারুল খানের অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন। প্রায় ১৫ দিন আগে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। তবে কারো সঙ্গে তার ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ